সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) দীপক কুমার সাহা জানান, সোমবার রাতে পৌর এলাকার মজিদপুর মহল্লায় এই ঘটনা ঘটে।
ক্ষুব্ধ জনতার কাছ থেকে আছিয়া খাতুনকে (৩২) উদ্ধারের সময় পুলিশ ও এলাকাবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
আটক আছিয়া মজিদপুর মহল্লার হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে আবেদন করা হয়েছে বলে পুলিশ কর্মকর্তা দীপক জানান।
নিহত শিশু সান্ত্বনা আক্তার (৭) ওই মহল্লার সিরাজ মিয়ার মেয়ে।
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আছিয়া শিশুটিকে হত্যার কথা স্বীকার করলেও হত্যার কারণ জানতে চাইলে একেক সময় একেক কথা বলছেন,” বলেন পরিদর্শক দীপক কুমার।
“মজিদপুর মহল্লার ভিতরে রাতের বেলায় বস্তা নিয়ে তাকে যেতে দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পরে তারা বস্তাটি তল্লাশি করে মৃতদেহ দেখতে পায়।”
এই খবর ছড়িয়ে পড়লে শত শত লোকজন জড়ো হয়ে আছিয়াকে মারধর শুরু করে।
এদিকে সন্তানকে হত্যা করার অভিযোগে শিশুটির বাবা সিরাজ মিয়া বাদি হয়ে রাতেই সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেছেন।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।