স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. আনোয়ার হোসেন নেতৃত্বাধীন এই দুই কমিটিতে চিকিৎসক ও সাংবাদিকদের একজন করে প্রতিনিধিকে সদস্য রাখা হয়েছে।
সংঘাতের পর সোমবার থেকে দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করায় চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়েছে।
তার মধ্যেই মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব নুরুন্নাহার স্বাক্ষরিত এক সার্কৃলারে তদন্ত কমিটি দুটি গঠনের কথা জানানো হয়। কমিটি দুটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
রাজশাহীর ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মাহমুদ হাসান, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের উপসচিব হুমায়ুন কবির।
রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সংঘাতের জন্য সাংবাদিকদের দায়ী করে কর্মবিরতি শুরু করেন সেখানকার শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।
এক রোগীর মৃত্যুর পর স্বজনদের সঙ্গে চিকিৎসকদের মারামারির সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে রাজশাহী মেডিকেলে হামলায় ১০ সাংবাদিক আহত হন এবং সাংবাদিক সংগঠনগুলো এ নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করছে।
ঘটনা তদন্তে ইতোমধ্যে একটি কমিটি করেছে রামেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (মিটফোর্ড) ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটিতে সদস্য রাখা হয়েছে বিএমএ মহাসচিব ইকবাল আর্সলান,বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন প্রতিনিধি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালক এবং মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জিল্লুর রহমান চৌধুরীকে।
সাংবাদিক মারধরের ঘটনায় একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের আসামি করে একটি মামলা করার পর মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা সোমবার দুপুরে কর্মবিরতি শুরু করেন।
কয়েকদিন আগে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে মিটফোর্ড হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলা শিকার হন একুশে টিভির কয়েকজন সাংবাদিক।
সাংবাদিকদের সঙ্গে সংঘাতের পর রাজশাহী ও মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মবিরতি পালনকারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি ইতোমধ্যে দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “অহেতুক ধর্মঘটকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”