হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসা সেবা ব্যহত না হওয়ার কথা বললেও ভর্তি থাকা রোগীর সংখ্যা কমার পাশাপাশি সেবা নিতেও আসছেন কম রোগী।
গত শনিবার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের হামলার শিকার হন বেসরকারি একুশে ও এটিএন নিউজের সাংবাদিকরা। পরে খবর পেয়ে একুশে টিভির আরো দুজন রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যান সেখানে গেলে তারাও হামলার মুখে পড়েন। তাদের ক্যামেরা ভেঙে ফেলা হয়।
এসব ঘটনা উল্লেখ করে সোমবার ঢাকার হাকিম আদালতে মামলা করেন একুশে টেলিভিশনের পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম, যাতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক শাহিন, শাওন, সোয়েব ও নাইমকে আসামি করা হয়।
মামলার পরপরই হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা দুপুর ২টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন।
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন চিকিৎসক জানান, ইন্টার্ন চিকিৎসকদের অনেক কাজ থাকে। বিশেষ করে ড্রেসিং। এই কাজটি রুটিন অনুয়াযী চালানো সম্ভব নয়।
তারা ধর্মঘটে গেলে চিকিৎসা সেবা ব্যহত হওয়া স্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, কর্তৃপক্ষ সোমবার ৭৮১ জন রোগীর খাবার সরবরাহ করা হলেও মঙ্গলবার ৭২২ জন রোগীকে খাবার দেয়া হয়েছে।
জরুরি বিভাগের একজন কর্মচারী জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টা পর্যন্ত হাসপাতালে ৫০ জনের মতো রোগী ভর্তি হয়েছে। সোমবার একই সময়ে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল প্রায় শ’ খানেক।
শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতির কারণে রোগী কমে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি।
এদিকে বিভিন্ন হাসপাতালে উদ্ভুত পরিস্থিতি নিয়ে দুপুর আড়াটায় বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোশিয়েশনের (বিএমএ) কার্যকরী পরিষদের জরুরি সভা ডাকা হয়েছে।
একুশে টেলিভিশনের করা মামলার আসামি শিক্ষানবিশ চিকিৎসক সোয়াইবুল ইসলাম শোয়েব বলেন, বিএমএর জরুরি সভার সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।
চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার সকাল ১১টায় হাসপাতাল চত্বরে সব চিকিৎসকরা মানববন্ধন করবেন বলে তিনি জানান।