‘টাকা না থাকায়’ কারিগরি শিক্ষকদের বেতন বন্ধ দুমাস

দেশের সাড়ে ৪৪ হাজার কারিগরি শিক্ষক গত ফেব্রুয়ারি থেকে বেতন পাচ্ছেন না।

ফরিদপুর প্রতিনিধিমফিজুর রহমান শিপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2014, 12:52 PM
Updated : 21 April 2014, 12:52 PM

বাংলাদেশের কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কারিগরির এসএসসি ও এইচএসসি সমমান বিষয়ের শিক্ষক তারা।

টাকা কম পড়ে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষক সমিতি ফরিদপুর জেলা শাখার সভাপতি শাহ জাফর মো. লিয়াকত হোসেন বলেন, “বেতন না পাওয়ায় আমাদের সাড়ে ৪৪ হাজার শিক্ষক চরম সংকটে পড়েছেন।”

টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউটের এই অধ্যক্ষ জানান, বিশেষ সুযোগ সুবিধা দেয়ার স্বার্থে আড়াই বছর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চ  শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর আলাদা করা হয়।

এ পর্যন্ত কোনো শিক্ষকের বেতন নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি উল্লেখ করে চলতি সংকটে বর্ণনায় তিনি বলেন, “অনেক শিক্ষক নববর্ষে তার সন্তানের গায়ে একটি নতুন জামাও দিতে পর্যন্ত পারেননি।”

“শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে অন্য শিক্ষকদের বেতন নিয়ে কোনো সমস্যা না হলেও কারিগরি শিক্ষকদের বেতনে সমস্যা হবে কেন?” এভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ফরিদপুর মহাবিদ্যালয়ের কারিগরি শিক্ষক রেজাউল করিম।

শুধু ফরিদপুরেই বাংলাদেশে কারিগারি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এসএসসি ও এইচএসসি পর্যায়ের ৩৫টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৪শ’ শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন।

বেতন বন্ধ থাকায় জেলার দশ হাজার শিক্ষার্থীকে শিক্ষাদানে প্রভাব পড়ছে বলে জানিয়েছেন একাধিক শিক্ষক। 

ফরিদপুরে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীন এক শিক্ষক বলেন, “আমার বেতন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভাবে পড়ে স্ত্রীকে শ্বশুরবাড়ি পাঠিয়ে দিতে হয়েছে।”

শিক্ষকদের বেতন বকেয়া থাকার কথা স্বীকার করেন কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) শেখ মো. আলমগীর হোসেন বলেন, “৮০ কোটি টাকা কম পড়ে যাওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

“আমরা অর্থ মন্ত্রণালয়ে রিভাইস বাজেট জমা দিয়েছি। আশা করছি আগামী ২৬ এপ্রিলের মধ্যে মন্ত্রণালয় থেকে টাকা ছাড় পেয়ে যাবো।”

ফলে আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বকেয়াসহ বেতন পরিশোধ করা আশা করছেন এই কর্মকর্তা।