একুশে টিভির মামলার পর মিটফোর্ডে ধর্মঘট

সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় একুশে টেলিভিশন কর্তৃপক্ষের মামলা করার পরপরই অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট শুরু করেছেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।

নিজস্ব প্রতিবেদকআদালত প্রতিবেদক ওবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2014, 10:31 AM
Updated : 21 April 2014, 10:34 AM

শনিবার মিটফোর্ড হাসপাতালে মারধরের ঘটনায় সোমবার ঢাকার হাকিম আদালতে মামলা করেন একুশে টেলিভিশনের পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম।

এতে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাকির হাসান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক শাহিন, শাওন, সোয়েব ও নাইমকে আসামি করা হয়।

মামলার খবর পেয়ে হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তাৎক্ষণিক কর্মবিরতি শুরু করেন।

রোববার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজেও সাংবাদিক মারধরের ঘটনা ঘটে। ওই জন্য সাংবাদিকদের দায়ী করে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শুরুর পরপরই একই কর্মসূচি শুরু হল মিটফোর্ডে।

স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি, শিক্ষানবিশ চিকিৎসক মোয়াইবুল ইসলাম সোয়েব বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার প্রেক্ষিতে দুপুর ২টা থেকে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু হয়েছে।”

হাসপাতালটিতে মোট ২০৭ জন শিক্ষানবিশ চিকিৎসক কাজ বন্ধ করেছেন বলে জানান সোয়েব, যিনি একুশে টিভির করা মামলার অন্যতম আসামি।

ওই মামলার বাদীর জবানবন্দি নিয়ে মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) ১১ মে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।  

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, “গত ১৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১১টায় মিটফোর্ড হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের সময় হাসপাতালের পরিচালক মো. জাকির হাসানের উপস্থিতিতে এবং তার উস্কানিতে ইন্টার্নি চিকিৎসকরা একুশে টিভি ও এটিএন নিউজের সাংবাদিকদের মারধর করে এবং তাদের জিম্মি করে টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার বন্ধে বাধ্য করে।”

ওই খবর পেয়ে একুশে টিভির আরো দুজন রিপোর্টার ও ক্যামেরাম্যান গেলে আসামিরা তাদেরও মারধর করে ক্যামেরা ভেঙে ফেলে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।

এতে আরো বলা হয়, আটক সাংবাকিদের কোনো খোঁজ না পেয়ে বার্তা সম্পাদক ইব্রাহীম আজাদ ও চিফ রিপোর্টার মাহাথির ফারুকীসহ চ্যানেলটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছলে আসামিরা তাদের সঙ্গেও অশোভন আচরণ করে।

ক্যামেরা ও অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভাঙচুরের ঘটনায় একুশে টিভির ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।