খালেদার ‍দুই মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির দুই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি।

আদালত প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 April 2014, 08:20 AM
Updated : 21 April 2014, 08:20 AM

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে করা দুই মামলায় সোমবার সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ছিল। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জানান, মামলার বাদী দুদকের সহকারী পরিচালক হারুনুর রশীদ আদালতে উপস্থিত থাকলেও আসামিপক্ষ থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি করার আবেদন করা হয়।

আবেদনে বলা হয়, গত ১৯ মার্চ বিচারিক আদালতে দুই মামলার অভিযোগ গঠন ‘যথাযথভাবে’ হয়নি দাবি করে তা বাতিল চেয়ে তারা হাই কোর্টে গেছেন।

“এ ব্যাপারে হাই কোর্টে শুনানি হয়েছে। হাই কোর্ট বুধবার আদেশ দেবে বলে জানিয়েছে।”

এ কারণে সাক্ষ্যগ্রহণ মুলতবি রাখার আবেদন করা হয়।

আইনজীবী কাজল বলেন, বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায় আসামিপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে ২১ মে হাইকোর্টের আদেশ দাখিল করার দিন ঠিক করেন। অন্যথায় ওইদিন সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে বলে আদালত জানিয়েছে।

খালেদা জিয়া, ফাইল ছবি

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া, তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে।

আর জিয়া চ্যারিটেবল (দাতব্য) ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সঙ্গে আসামি হিসাবে রয়েছেন আরো তিনজন।

এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির সাবেক সাংসদ কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এদের মধ্যে সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আছেন জামিনে। তারেক উচ্চ আদালতের জামিনে গত পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বিদেশে অবস্থান করছেন। বর্তমানে তিনিসহ বাকি দুজন পলাতক।

দাতব্য ট্রাস্ট মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এদের মধ্যে হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও রয়েছে। খালেদাসহ বাকি দুই আসামি জামিনে রয়েছেন।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে একটি মামলায়। অন্যদিকে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্টের মামলায় বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।