রোববার গভীর রাতে নিহত ওই দুই যুবকের পরিচয় সকাল পর্যন্ত পাওয়া না গেলেও বেলা ১২টার দিকে স্বজনরা লাশ শনাক্ত করেছেন।
এদের একজনের নাম জাহাঙ্গীর। মিরপুর-১ নম্বরে তার একটি ইলেকট্রনিক্সের দোকান রয়েছে। অপরজন কাইয়ুম, যিনি চৌদ্দ বছর মালয়শিয়া থাকার পর দুই বছর আগে ফেরেন। কাইয়ুম মধ্য পীরেরবাগ আর জাহাঙ্গীর শেওড়াপাড়ায় থাকতেন।
রোববার গভীর রাতে দক্ষিণ পীরেরবাগের বটতলায় দুর্বৃত্তরা তাদের কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মিরপুর থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বেলাল নামে এক যুবক এক কিশোরীকে নিয়ে পালিয়ে গেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। আর ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ওই দুই যুবক।”
“রোববার রাত ১০টার দিকে ওই কিশোরীর লোকজন এসে পীরেরবাগের বেলালের বোন পারভীনকে বেলাল কোথায় তা জানার জন্য চাপ দেয়। তখন পারভীনের লোকজন ওই কিশোরীর লোকজনকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়।”
“পরে দুটি মোটর সাইকেলে করে জাহাঙ্গীর, কাইয়ুমসহ চারজন পীরেরবাগের পারভীনের বাসায় যান। তখনই পারভীনের বাসায় সামনে এই খুনের ঘটনা ঘটে।”
মোটরসাইকেলে আসা বাকি দুজন কোথায় জানতে চাইলে ওসি বলেন, “ওই দুজনের কিছু হয়নি। তারা ভাল আছেন মনে হচ্ছে।
ঘটনার পর থেকে পারভীন, তার সন্তানসহ সবাই পলাতক বলেও জানান তিনি।
কাইয়ুমের বড় ভাই মো. ফরহাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কাইয়ুম একটি সালিশের জন্য এসে খুন হয়েছে তা আমার জানা নাই। তবে থানায় এসে এখন শুনছি সে কথা।”
এদিকে স্বামীর মৃত্যুর খবর এখনো জানেন না জাহাঙ্গীরের পাঁচ মাসের অন্তঃস্ত্ত্বা স্ত্রী পুতুল।
জাহাঙ্গীরের বেয়াই শহীদুল ইসলাম ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুতুলকে মৃত্যুর কথা জানানো হয়নি। পুতুল পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মৃত্যুর কথা বললে চাপ সইতে পারবে না। তাই জানানো হয়নি।”
দুই বছর আগে জাহাঙ্গীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল পুতুলের। পুতুলের বাড়ি বরিশালের কোতোয়ালি থানা এলাকায়। দুই ভাই চার বোনের মধ্যে জাহাঙ্গীর ছিল সবার ছোট।
কাইয়ুমের বড় ভাই ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, চৌদ্দ বছর মালয়েশিয়া থাকার পর দুই বছর আগে সে দেশে ফিরে আসে। চার ভাই তিন বোনের মধ্যে সে ষষ্ঠ ছিল।