রোববার নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুয়েলারি মালিক সমিতির ব্যানারে এক মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়।
গত ৭ এপ্রিল মধ্যরাতের পর চকরিয়া পৌরসভা এলাকার বায়তুশ শরফ সড়কের বাসিন্দা মহাজন নন্দরাম ধরের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২৭ কেজি ৭৬৫ গ্রাম স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১১ লাখ ৪৯ হাজার ৯৫২ টাকা জব্দ করে পুলিশ ও বিজিবির সদস্যরা। অবৈধভাবে স্বর্ণ রাখার অভিযোগে হয় দুই ছেলেসহ নন্দরামকে আটক করা হয়।
স্বর্ণলতা জুয়েলার্স নামে চকোরিয়া সদরে নন্দরামের একটি দোকান রয়েছে। নন্দরামকে তার পরিবারের পক্ষ থেকে লাইসেন্সধারী স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করা হয়।
পরদিন কক্সবাজার জুয়েলারি সমিতিও ওই ঘটনায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট ডাকে। তিনদিন পর ধর্মঘট উঠিয়ে নিলেও নন্দরাম ও তার দুই ছেলে কারাগারেই আটক থাকেন।
মানববন্ধনে আটকদের মুক্তির পাশাপাশি জব্দ স্বর্ণালঙ্কারও ফেরত দেয়ারও দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
তারা স্বর্ণ মজুদ রাখা ও কেনা-বেচার ক্ষেত্রে নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানান তারা।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, “আমরা কর দিয়ে ব্যবসা করি। বৈধভাবে ব্যবসা করার জন্য সরকারের যা করার তা করতে হবে।”
স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে চট্টগ্রাম চেম্বার পাশে থাকবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ।
সমাবেশে অংশ নিয়ে চট্টগ্রামের রাজনৈতিক নেতারাও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী সেদিনের ঘটনার খতিয়ে দেখার জন্য চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারকে আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম জুয়েলারি মালিক সমিতির সভাপতি নুরুল আবসারের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ও জুয়েলারি মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুভাষ ধর।
বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসা স্বর্ণ ব্যবসায়ী নেতারাও বক্তব্য রাখেন।