আইইউটির উপাচার্য অধ্যাপক ইমতিয়াজ হোসেন জানান, ছেলেটির মরদেহ ঢাকার শমরিতা হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। বিমানের টিকেট কনফার্ম করা হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে শনিবার (২৬ এপ্রিল) মরদেহ নাইজেরিয়া পাঠানো হবে।
শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে আইইউটির হ্রদ থেকে তাহির মনির আদিমের (২৬) লাশ উদ্ধার করা হয়।
তাহির বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতকের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাউথ হলে থাকতেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, “ওই ছাত্র কীভাবে সেখানে গেছেন বা মারা গেলেন তা আমাদের জানা নেই। ঘটনা তদন্তে আমরা কাজ করছি।”
তিনি জানান, গাজীপুর সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আনুসঙ্গিক কাগজপত্র তৈরি হওয়ার পর এবং বিমানের টিকেট কনফার্ম করার আগের দিন আইইউটি ক্যাম্পাসে তার জানাযা নামাজ পড়া হবে।
প্রচণ্ড গরমের কারণে লাশটি যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য ময়নাতদন্ত সেরে দ্রুত হিমঘরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। তার্কিশ এয়ারলাইনস কর্তৃপক্ষ ২৬ এপ্রিল তার টিকিট কনফার্ম করেছে। অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করা গেলে ওইদিনই তার মরদেহ নাইজেরিয়া পাঠিয়ে দেয়া হবে।
গাজীপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তপন কান্তি সরকার জানান, সোমবার লাশের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন তৈরি সম্পন্ন হবে।
টঙ্গী থানার ওসি কাজী ইসমাইল হোসেন জানান, শনিবার রাতে তাহিরকে অচেতন অবস্থায় লেক থেকে উদ্ধারের পর দ্রুত টঙ্গী সরকারি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পানিতে ডুবে তাহিরের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ।
এ ব্যাপারে রোববার সকালে ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আহসান হাবিব জয়দেবপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বলে জানান ওসি কাজী ইসমাইল।
টঙ্গী সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক রাশেদুজ্জামান জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।