রোববার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কীটতত্ত্ববিদদের পাশে রেখে মন্ত্রী বলেন, পোকাগুলো আফ্রিকান দেশের। ডিম পাড়ার জন্য এগুলো মাটিতে নেমে আসে।
প্রতিটি পোকা দুইশ’ থেকে চারশ’টি ডিম পাড়ে জানিয়ে তিনি বলেন, এদের গায়ে মোম জাতীয় পদার্থ থাকায় সাধারণ কীটনাশক কার্যকর হয় না।
“পোকাগুলো গাছপালা ও ফসলের ক্ষতি করে। মানুষের শরীরে লাগলে চামড়া লাল হয়ে ওঠে এবং ফোস্কা পড়ে। এছাড়া চুলকানি, এলার্জি ও শ্বাসকষ্টও হতে পারে।”
এসব পোকা দমন না করা হলে বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।
নতুন ধরনের এই পোকার বিষয়ে কৃষি ও স্বাস্থ্যমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আবুল বাশার, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক মো. রজ্জব আলী এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক খন্দকার শরীফুল ইসলাম ও অধ্যাপক আবুল মঞ্জুর খান সংবাদ সম্মেলনে এই পোকা সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরেন।
পোকাগুলো সংগ্রহ করে মাটিতে দেড় থেকে দুই ফুট গর্ত করে পুঁতে অথবা পুড়িয়ে মারার পরামর্শ দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।
মন্ত্রী বলেন, যেসব গাছে এই পোকা আক্রমণ করেছে সেসব গাছের গোড়ার চারদিকে মসৃণ এসএস শিট বা প্লাস্টিক ব্যান্ড দিয়ে ঘিরে রাখতে হবে।
“পোকাগুলো মারার জন্য ক্লাসিক বা ডার্সব্যান ২০ইসি বা ফিপরোনিল প্রতিলিটার পানিতে ৫এমএল মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে।”
শিক্ষাসচিব মোহাম্মদ সাদিক, গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের অধ্যক্ষ ইফফাত আরা নার্গিস ছাড়াও মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।