কয়েক আদালত ঘুরে এখন ঢাকার মহানগর হাকিম মারুফ হোসেনের আদালতে সিআইডির প্রতিবেদন আমলে নেয়ার শুনানির হওয়ার দিন রয়েছে সোমবার।
বিচারে দীর্ঘসূত্রতায় ইয়েনের মা দিল আফরোজ বেগম সাংবাদিকদের কাছে হতাশার কথা জানিয়েছেন।
২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল সকালে গুলশানের ১০১ নম্বর সড়কের ৭ নম্বর বাড়ির ৫ নম্বর ফ্ল্যাটে খুন হন ইয়েন (৩৮)।
ওই দিনই তার স্বামী সফটওয়্যার ব্যবসায়ী মবিন খান (৪৮) গুলশান থানায় ইয়েনের গাড়িচালক মিন্টু পেদাকে আসামি করে একটি ডাকাতির মামলা করেন।
পুলিশ মিন্টু পেদা ও তার স্ত্রী পান্না বেগমকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্য যায় ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে।
পরে নিহতের মা দিল আফরোজ বেগম ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে এ ঘটনা উল্লেখ করে ২০১৩ সালের ৪ এপ্রিল মবিন, মিন্টুসহ ৪ জনকে আসামি করে আরজি আকারে অভিযোগ দাখিল করেন।
সিআইডি নিহতের মায়ের অভিযোগটি তদন্ত করে মবিন, মিন্টুসহ চার জনের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে।
কিন্তু সিআইডির এ প্রতিবেদন আমলে নেয়ার জন্য এক আদালত থেকে অন্য আদালতে নথি চালাচালি হচ্ছে বলে জানান দিল আফরোজ বেগম।
তিনি বলেন, ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ২০১৩ সালের ২৭ অগাস্ট প্রতিবেদন দাখিল করা হলেও আদালত তা গ্রহণ না করে মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠায়। মহানগর দায়রা জজ সেটি ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠায়। ট্রাইব্যুনাল তা আবার ফেরত পাঠায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে।
সবশেষ মহানগর দায়রা জজ আদালত আবার প্রতিবেদনটি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে পাঠিয়ে দেয় বলে জানান তিনি।
দিল আফরোজের আইনজীবী মো. শাহাবুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে বিচারাধীন মবিন খানের মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য হাই কোর্টে গিয়েছিলাম।
“হাই কোর্ট ওই মামলার বিচার কার্যক্রম স্থগিত করে দিলে মবিন খান স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যান। ১০ এপ্রিল আপিল বিভাগ হাই কোর্ট বিভাগের আদেশ বহাল রাখেন।”
দিল আফরোজ বেগম জানান, মবিন খান ইতোমধ্যে তার জব্দ করা পাসপোর্ট ফেরত পেয়েছে।
ফলে তার আশঙ্কা, বিচার এড়াতে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে আসামি মবিন।