চাঁদপুরের পুলিশ সুপার গত ৮ এপ্রিল হাজীগঞ্জ থানাকে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন বলে নিশ্চিত করেন ওই থানার ওসি শাহ আলম।
ওসি শাহ আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় দণ্ডিত পলাতক আসামিদের বিষয়ে গঠিত টাস্কফোর্সের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চাঁদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে গত ৩ এপ্রিল ঢাকা মেট্রোপলিটন দক্ষিণ শাখা থেকে একটি নির্দেশ আসে।
রাশেদ চৌধুরীর সম্পত্তি জব্দের ওই নির্দেশপত্রে স্বাক্ষর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন দক্ষিণ শাখা বিশেষ পুলিশ সুপার আব্দুল কাহার আখন্দ।
ওসি বলেন, হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ রাশেদ চৌধুরীর মালিকানাধীন সম্পত্তি সনাক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেছে।
রাশেদ চৌধুরীর বাবা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী। শিহাব উদ্দিন চৌধুরীর উপরোক্ত সম্পত্তির ওয়ারিশ হলেন রাশেদ চৌধুরীসহ আট ভাই ও এক বোন।
টাস্কফোর্সের নির্দেশে সম্পত্তির বণ্টননামার ভিত্তিতে রাশেদ চৌধুরী প্রাপ্য জমি পৃথক করে তা ক্রোক ও বাজেয়াপ্ত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
ইউএনও আরো বলেন, তাদের ওই যৌথ মালিকানাধীন সম্পত্তির মধ্যে রাশেদ চৌধুরীর সম্পত্তি আলাদাভাবে সনাক্ত করা হয়েছে। দুয়েকদিনের মধ্যে এসব সম্পত্তিতে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার চুড়ান্ত বিচারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১২ আসামির মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম রাশেদ চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এইচ বি এম নূর চৌধুরী, রিসালদার মোসলেমউদ্দিন ও অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ পালিয়ে আছেন।