পুরান ঢাকার সিরাজুল ইসলামের মেয়ে ফারহানা নাসরিন বাদি হয়ে রোববার দুপুরে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে এই মামলা করেন।
গত ১৩ এপ্রিল সিরাজুলের মৃত্যুর পর চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তার স্বজনরা বারডেম হাসপাতালে ভাংচুর চালায়। ওই সময় তিন চিকিৎসক মারধরের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে।
ফারহানা আদালতে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে সকালে বারডেমের জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা সুপার মো. মানিক মোল্লা হাকিম আদালতে একটি মামলা করেন।
ওই মামলায় সিরাজুলের স্বজন পুলিশের অতিরিক্ত সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়। ফারহানা এই মামলার তৃতীয় আসামি।
বাবার মৃত্যুর জন্য পাঁচ চিকিৎসককে দায়ী করে তাদের মামলায় আসামি করেছেন ফারহানা। তারা হলেন- ডা. আজাদ, ডা. শামীমা আক্তার, ডা. ফিরোজ আমিন, ডা. কল্যাণ দেবনাথ ও ডা. আনোয়ার হোসেন।
মহানগর হাকিম মিজানুর রহমান বাদী ফারহানার জবানবন্দি নিয়ে আদেশের জন্য মামলাটিকে অপেক্ষমান রেখেছেন। বারডেমের মামলাটিও আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন একই হাকিম।
বারডেমের মামলায় মামলায় সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ানের ব্যক্তিগত সহকারী ইসহাক হোসেন বাবুকেও আসামি করা হয়েছে।
এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে অবৈধ অনুপ্রবেশ, ভাংচুর ও চিকিৎসকদের ওপর হামলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
১৩ এপ্রিলের ঘটনার পর ১৫ এপ্রিল থেকে ধর্মঘট শুরু করে বারডেমের চিকিৎসকরা। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য বিশেষায়িত এই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে।
চিকিৎসকদের দাবির মুখে পুলিশ কর্মকর্তা মাসুদকে ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়া হলে বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের অবসান ঘটে।
ধর্মঘট তুলে নেয়া হলেও সহকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের শাস্তি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে বারডেম চিকিৎসকরা। এর মধ্যেই পাল্টাপাল্ট মামলা হল।
পুরান ঢাকার হোসনি দালান রোডের বাসিন্দা ডায়াবেটিক রোগী সিরাজুল ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে তাকে বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ৯ এপ্রিল, এর চারদিন পর তার মৃত্যু হয়।