‘উন্নয়নের জন্য বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসতে হবে’

বাংলাদেশের উন্নয়নে বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রযুক্তিবিদদের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 April 2014, 10:07 AM
Updated : 20 April 2014, 10:37 AM

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমির ফেলোদের মধ্যে স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা বিজ্ঞানী, গবেষক ও প্রযুক্তিবিদদের সহযোগিতা চাই। তাদের সহযোগিতা ছাড়া দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব না।”

ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে রোববার দুপুরে এই অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য ২২ জন নবীন ও প্রবীণ বিজ্ঞানীর হাতে স্বর্ণপদক ও সনদ তুলে দেন শেখ হাসিনা।

কাজী এম বদরুদ্দোজা বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস- এম ও গনি মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল ২০১১, অধ্যাপক  এ কে এম সিদ্দিক বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস-জাতীয় অধ্যাপক ড. এম ইন্নাস আলী মেমোরিয়াল গোল্ড মেডেল ২০১২, সিনিয়র বিভাগে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক বিভাগের অধ্যাপক আনিসুল হক ভৌত বিজ্ঞানে, বাংলাদেশ আনবিক শক্তি কমিশনের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুবারাক আহমেদ খান ভৌত বিজ্ঞানে ও জীব বিজ্ঞানে, অধ্যাপক লিয়াকত আলী ২০১০ সালের বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস গোল্ড মেডেল, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক এ এ মামুন  ভৌত বিজ্ঞানে, আইসিডিডিআরবি,র গবেষক সিরাজুল ইসলাম জীব বিজ্ঞানে এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের জীবপ্রযুক্তির অধ্যাপক মো. তোফাজ্জল ইসলাম জীব বিজ্ঞানে ২০১১ সালের বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস গোল্ড মেডেল এবং জুনিয়র বিভাগে ভৌত বিজ্ঞানে আনবিক শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের মুখ্য গবেষক মো. সুজা উদ্দিন ২০১০ সালের ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক মোহাম্মদ আবুল হাসনাত ভৌত বিজ্ঞানে ২০১১ সালের বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।

এছাড়া ১২ জন নবীন বিজ্ঞানী বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেস-ওয়ার্ল্ড একাডেমি অফ সায়েন্স গোল্ড মেডেল পেয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক ও সনদ নেয়ার পর সবাই তার সঙ্গে ছবি তোলেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ হাসিনা বলেন, “সোনার বাংলা গড়তে ব্যাপক হারে বিজ্ঞান চর্চা ও গবেষণার প্রয়োজন রয়েছে।”

বাংলাদেশ গবেষণায় সাফল্য অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণতা গবেষণারই ফসল।

নবীন বিজ্ঞানীরা গবেষণায় যাতে উৎসাহিত হয় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে ব্যাপক পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রে বিজ্ঞান চর্চার প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য জ্ঞান চর্চা দরকার। আমরা চাই দেশে আরো বিজ্ঞান চর্চা হোক।

“আমি সাহিত্যের ছাত্রী। কিন্তু বিজ্ঞানের গুরুত্ব আমি বুঝি।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ মেধাবী। শুধু তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া দরকার।”

বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের সভাপতি মেসবাহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ একাডেমি অফ সায়েন্সেসের মহাসচিব মেজবাহউদ্দিন আহমেদ।