দাসেরহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) মো. মোজাম্মেল হক জানান, রোববার সকালে চরশাহী ইউনিয়নের বসুরহাট বাজারে এ সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ তিনজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
যুবলীগ কর্মী ইব্রাহিম খলিল বাবলু (৪০) ও মো. আনোয়ার হোসেনকে (৩৬) লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে এবং হোটেল কর্মচারী আব্দুল মান্নানকে (২৫) নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বাবলু সদর উপজেলা (পূর্ব) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোরশেদ আলমের ভাই।
আহতরা জানান, সকাল ৮টার দিকে যুবলীগ কর্মী বাবলু ও আনোয়ার বসুরহাট বাজারের বিসমিল্লাহ হোটেলে নাস্তা করতে যায়। সেখানে স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহাদাতের নেতৃত্বে ১০-১২ জন লোক এসে হোটেলের ভেতর ঢুকে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।
পরে শাহাদাত পক্ষ গুলি ছোড়ে। এতে তিনজন গুলিবিদ্ধ (ছররা গুলি) হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা (পূর্ব) যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মোরশেদ আলম বলেন, বাজারে জেনারেটর ব্যবসাকে কেন্দ্র করে শাহাদাত তার ভাই বাবলুর কাছে চাঁদা দাবি করে আসছে। চাঁদা না দেয়ায় এ হামলা চালানো হয়েছে।
চাঁদাবাজির অভিযোগ অস্বীকার করে যুবলীগ নেতা শাহাদাত বলেন, শনিবার রাতে মোরশেদের সমর্থকরা তার দুই সমর্থককে মারধর করে। এ নিয়ে রোববার সকালে বাজারে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এসআই মো. মোজাম্মেল হক বলেন, পরিস্থতি এখন শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।