ছাত্রী হোস্টেলে ডাকাতির পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়ে রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছিলেন তারা।
বিকালে কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠকের পর বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের বগুড়ার সাধারণ সম্পাদক রেজাউল আলম জুয়েল শিক্ষানবিশদের কর্মসূচি প্রত্যাহারের কথা জানান।
তবে শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার দাবিতে চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। রোববার দ্বিতীয় দিনের মতো তারা ক্লাস বর্জন করে কলেজ সংলগ্ন মহাসড়কে মানববন্ধন করেন।
তাদের কর্মসূচির পর মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক করে।
বৈঠকের পর কলেজের অধ্যক্ষ একেএম আহসান হাবিব সাংবাদিকদের বলেন, সভায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে আগামী অর্থবছরে নিরাপত্তা বেষ্টনি নির্মাণ,কলেজ ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত আলো এবং নিরাপত্তাকর্মীর ব্যবস্থা করা হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এরপর বিএমএ নেতারা কলেজের ছাত্র-শিক্ষক ও হাসপাতালের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠকে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা কর্মবিরতি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানালেও শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে অটল থাকার কথা জানায়।
আন্দোলনরত ছাত্রদের মুখপাত্র পঞ্চম বর্ষের ছাত্র আবু আহাদ সিজার সাংবাদিকদের বলেন, মহিলা হোস্টেলসহ ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার স্বার্থে যতক্ষণ না ক্যাম্পাস প্রাচীর দিয়ে আলাদা করা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে একদল সশস্ত্র যুবক মেডিকেল কলেজের প্রধান হোস্টেলের দ্বিতীয় তলায় প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের একটি গণরূমে হানা দিয়ে লুটপাট চালায়।
এরপর সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
ঘটনার পর দুই দিন পার হলেও কাউকে গ্রেপ্তার বা মালামাল উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
বগুড়া সদর থানার ওসি সাইদুল হক বলেন,মালামাল উদ্ধার ও আসামি গ্রেপ্তারে তৎপরতা চলছে।