শনিবার দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনার পর দুই পক্ষের মধ্যে ‘সমঝোতা’ হয়েছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে।
একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথির ফারুকী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সংবাদ সংগ্রহের জন্য ইটিভি’র প্রতিবেদক ইলিয়াস হোসেন এবং ক্যামেরা পার্সন মনিরুল ইসলাম মিটফোর্ড হাসপাতালে যান।
ফারুকী জানান, এসময় ওই এলাকায় ইটিভির আরো দুটো টিম অবস্থান করছিল। তাদের মধ্যে প্রতিবেদক নুরুন্নবীর টিমটিকে সেখানে পাঠানোর পর শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তাদের ওপরও হামলা চালায় এবং একইভাবে ক্যামেরা ভেঙে ফেলে।
খবর পেয়ে পরের টিম নিয়ে প্রতিবেদক জুলহাস কবীর সেখানে গেলে তারও একই পরিণতি হয় বলে মাহথির জানান।
এই ঘটনার পরপরই স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং সচিবকে জানায় ইটিভি কর্তৃপক্ষ। পরে তাদের নির্দেশে ডা. আবুল হোসেন খানের নেতৃত্বে বিএমএ-এর একটি দল সেখানে যায়।
এ বিষয়ে হাসপাতালের উপপরিচালক আবু ইউসুফ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের সঙ্গে হাতাহাতির পর ইটিভির উর্ধ্বতন কয়েকজন আসেন এবং হাসপাতালের পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ‘সমঝোতা’ হয়।
কী নিয়ে সমস্যা হয়েছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেডিসিন বিভাগের মহিলা ওয়ার্ডে গিয়ে অনুমতি ছাড়াই সাংবাদিকরা ছবি তুলছিল। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তার প্রতিবাদ জানালে তর্কাতর্কি থেকে হাতাহাতি হয়।