শনিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলা হয়,বিভিন্ন ‘মতলববাজ গোষ্ঠীর স্বার্থে’ কাজ করছেন ইমরান।
সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন অনিমেষ রহমান, বাঙ্গাল, প্রীতম (কণ্ঠশিল্পী), রাশেদুল হাসান, মোরসালিন মিজান, কানিজ আকলিমা সুলতানা প্রমুখ।
তারা ইমরানকে বাদ দিয়ে সংগঠনের নতুন সমন্বয় কমিটির ঘোষণাও দেন, যাতে প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে চার্বাককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কমিটিতে যাদের নাম রয়েছে, তারা হলেন- অনিমেষ রহমান, বাঙ্গাল, কানিজ আকলিমা সুলতানা ও সুপ্রীতি ধর।
গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্ব থেকে ইমরানকে ‘অব্যাহতি’ দিয়ে মঞ্চের এক পক্ষের সংবাদ সম্মেলনের কয়েকদিনের মধ্যে ব্লগাররা সংবাদ সম্মেলনে এলেন।
এদিকে বোয়ান-এর ফেইসবুক পাতায় অনিমেষদের এই সংবাদ সম্মেলনের বিষয়ে বলা হয়েছে, “এই ধরনের কোনো সংবাদ সম্মেলন বোয়ান আহ্বান করেনি।
“নতুন কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই কোনো কুচক্রিমহল এ ধরনের সংবাদ সম্মেলন ডেকে বোয়ানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা করে থাকতে পারে। সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
আব্দুল কাদের মোল্লার যাবজ্জীবন সাজার রায় প্রত্যাখ্যান করে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি গণজাগরণ আন্দোলন শুরুর পর বোয়ানের আহ্বায়ক হিসেবে মঞ্চের মুখপাত্রের দায়িত্বে আসেন ইমরান।
সম্প্রতি শাহবাগে মারামারির এক ঘটনার পর ইমরান ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললে সরকার সমর্থক সংগঠন দুটিও মঞ্চের মুখপাত্রের বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ তোলে।
এ নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলার মধ্যে গত ১২ এপ্রিল শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন করে ইমরানকে অব্যাহতি দেয়ার ঘোষণা দেন মুক্তিযোদ্ধা ছাত্র কমান্ডের প্রধান কামাল পাশা চৌধুরী।
এর প্রতিক্রিয়ায় ইমরান বলেন, গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে ‘চক্রান্ত’ হচ্ছে এবং সরকার মঞ্চ বন্ধ করতে চাইছে।
তিনি বলেন, “কোনো অবস্থাতেই মুখপাত্রকে গণজাগরণ মঞ্চের নেতা ভাবার কোনো কারণ নেই। এখানে সবার পরিচয়-কর্মী।
“অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন মতলববাজ গোষ্ঠী মুখপাত্রের মুখ থেকে তাদের বিভ্রান্ত ও গোপন এজেন্ডার পক্ষে কথা বলিয়ে নিচ্ছে এবং মুখপাত্র এই ক্ষেত্রে জবাবদিহিহীনতার সুযোগ নিচ্ছেন। এটা আমরা অনৈতিক মনে করি।”
ইমরানের এই ধরনের ভূমিকাকে গণজাগরণ মঞ্চ ঘোষিত ৬ দফা দাবির প্রতি ‘বিশ্বাসঘাতকতা’ বলেও মন্তব্য করেন অনিমেষ।