এমনই ৫৩ হাজার নকল পরিচয়পত্রসহ দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে রাজধানীর কদমতলী এলাকা থেকে। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে প্রায় ৩৬ হাজার পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
গ্রেপ্তাররা হলেন আমিনুল ইসলাম মামুন (২৩) এবং তৌফিক ইসলাম (২৫)।
শনিবার সকালে মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানান, খুচরা মোবাইল সিম বিক্রেতার কাছে এসব পরিচয়পত্র এবং ছবি প্রতিসেট ২৫ থেকে ৩০ টাকা করে বিক্রি করা হয়। আর খুচরা বিক্রেতারা যেসব সিম কোন পরিচয়পত্র ছাড়া বিক্রি করে থাকেন তার বিপরীতেই এসব ভুয়া পরিচয়পত্র ও ছবি দেখানো হয়।
চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা।
বর্তমানে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি কিংবা অন্য কোনো নথি ব্যবহার করে গ্রাহকরা মোবাইল ফোনের সংযোগ নিতে পারেন। এক্ষেত্রে প্রায়ই ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র বা নথি ব্যবহারের ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
ভুয়া তথ্যে নেয়া এসব সংযোগ চাঁদাবাজি, হুমকি, সন্ত্রাসী ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হচ্ছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মনিরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কদমতলী থানা পুলিশ পূর্ব ধোলাইপাড় পদ্মা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সামনে থেকে আমিনুল ইসলাম মামুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে চার হাজার ৬৫০টি ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র এবং সমসংখ্যক ছবি পাওয়া যায়।
পরে তাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে জানা যায়, তৌফিক ইসলাম নামে টঙ্গীর এক ব্যক্তি তার সঙ্গে এ কাজে জড়িত।
পরে তাকে নিয়ে পুলিশ টঙ্গীর আরিচপুর বাজার এলাকার শেরেবাংলা রোড়ের ৮নম্বর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ৪৮ হাজার ৪৫০টি ভুয়া পরিচয়পত্র এবং ৩১ হাজার ৬৫০টি পাসপোর্ট সাইজের ছবি উদ্ধার করে।
ওই অভিযানে একটি কম্পিউটার, একটি প্রিন্টার, ১৫টি এয়ারটেল ও আটটি বাংলালিংক সিম, প্রিন্টারে ব্যবহৃত বিভিন্ন রংয়ের কালি উদ্ধার করা হয়।