নোয়াখালীতে মাটি খুঁড়ে ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

নিখোঁজের ১২ ঘণ্টা পর নোয়াখালী সদরে এক ব্যবসায়ীর মাটিচাপা দেয়া লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 02:38 PM
Updated : 18 April 2014, 02:42 PM

সুধারাম থানার পুলিশ পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন জানান, শুক্রবার ধর্মপুর ইউনিয়নের দরবেশপুর গ্রামে আরিফ হোসেনের (২৮) লাশ পাওয়া যায়। তিনি স্থানীয় কালিতারা বাজারের তেলের ব্যবসা করতেন, নোয়াখালী ইউনিয়নের সল্লাঘটিয়া গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে।

এ হত্যায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এরা হলেন দরবেশপুর গ্রামের পিয়াস (২২), পিয়াসের স্ত্রী নুর নাহার (২০), বোন প্রমা (১৯), নানী নূর জাহান (৪৫) ও সুমন (২১)।

এদিকে এ ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসী দুপুরে পিয়াস ও তার প্রতিবেশী হেলালের বাড়ি ও দোকানে অগ্নিসংযোগ করেছে। পরে ফায়ার সার্ভিস গিয়ে আগুন নেভায় এবং পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুজামান জানান, পরিস্থিতি পুরো শান্ত না হওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন জানান, বৃহস্পতিবার সকালে আরিফ বিভিন্ন দোকানীদের কাছ থেকে পাওনা টাকা সংগ্রহের জন্য মোটরসাইকেলে করে বের হন।

এরপর দরবেশপুর গ্রামের পিয়াস, সবুজ ও সুমন মোবাইল ফোনে আরিফকে এদের একজনের তাদের বাড়িতে আড্ডা দেয়ার কথা বলে ডেকে নেয়।

এক পর্যায়ে ঘরের মধ্যে শ্বাসরোধ ও মাথায় আঘাতে হত্যা করে আরিফের কাছে থাকা নগদ টাকা ও তার মোটরসাইকেলটি ছিনিয়ে নেয় তারা। এরপর নূর নাহার, প্রমা ও নুর জাহানের সহায়তায় ঘরের পেছনে লাশ মাটিচাপা দেয়।

নিজাম উদ্দিন আরো জানান, বিকালে পিয়াস ও সুমন নিহত আরিফের মোটরসাইকেল নিয়ে উত্তর ওয়াপদা এলাকার বৈশাখি মেলায় গিয়ে এক কিশোরীকে উত্ত্যক্ত করে। এ সময় স্থানীয়রা তাদের পিটুনি দিয়ে মোটরসাইকেলসহ পুলিশে সোপর্দ করে।

এদিকে রাতে আরিফকে না পেয়ে তার বাবা আবুল খায়ের সুধারাম থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে এসে থানার সামনে ছেলের মটরসাইকেল দেখে পুলিশকে বিষয়টি জানান।

এরপর আটক সুমন ও পিয়াসকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যাকাণ্ডের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী আরিফের লাশ উদ্ধার করা হয়।

লাশ ময়নাতদন্তের পর তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পরিদর্শক নিজাম।

পুলিশ কর্মকর্তা আরো জানান, এ ঘটনায় আরিফের ভাই আমির হোসেন আজাদ আটক পাঁচজনসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরো কয়েকজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন।