সাংবাদিক, পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ও এলাকাবাসী জানায়, স্থানীয় যুবলীগ নেতা সোহেল চৌধুরী একটি অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন থেকে অর্থের বিনিময়ে অটোরিকশায় চার্জ দেন। এখানেই এ ঘটনা ঘটেছে।
এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন বলেও সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন।
এ তিন স্থানীয় প্রতিনিধি হলেন যায়যায়দিনের কামাল হোসেন খান, দৈনিক ভোরের কাগজের মনিরুল ইসলাম মনির ও ভোরের ডাকের সহিদুল ইসলাম খোকন।
তবে, সোহেল চৌধুরী তার দোকানের বিদ্যুতের লাইনটি অবৈধ নয় বলে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অটোরিকশা চালক আব্দুল কুদ্দুস (২৬) প্রতিদিনের মতো সোহেল চৌধুরীর দোকানে তার অটোরিকশা চার্জে দেন। শুক্রবার সকালে অটোরিকশাটি আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনাটি পুলিশকে না জানিয়ে যুবলীগ নেতা সোহেল চৌধুরী মৃত আব্দুল কুদ্দুসের লাশ চান্দ্রাকান্দি গ্রামে তার বাড়িতে পঠিয়ে দেন।
খবর পেয়ে থানার এসআই আবু হানিফ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আব্দুল কুদ্দুসের বাড়ি যান। এ সময় বিভিন্ন পত্রিকার প্রতিনিধিরাও সেখানে উপস্থিত হন।
কামাল হোসেন আরো জানান, লাশ নিয়ে যাওয়া লোকজন সাংবাদিক ও পুলিশ দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। পরে থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে।
মতলব উত্তর থানার ওসি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, সাংবাদিক ও পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ওসি জানান, আব্দুল কুদ্দুসের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য তার বাড়ি থেকে থানায় আনা হয়েছে। এখান থেকে চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে।
চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মতলব উত্তর জোনাল অফিসের ডিজিএম আবুল কালাম বলেন, যেখানে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেখানকার লাইনটি অবৈধ। তাদের অনুমতি ছাড়া বিদ্যুতের লাইন ব্যবহার করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।