রোববার (১৩ এপ্রিল) শুরু হওয়া এ উৎসবকে দুভাগে ভাগ করে তারা। প্রথম ভাগের চারদিনের উৎসব শেষ হয়েছে বুধবার। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া শেষ তিনদিনের উৎসব চলবে শনিবার পর্যন্ত।
কক্সবাজারের রাখাইন সম্প্রদায়ের নেতা অধ্যক্ষ ক্য থিং অং জানান, রাখাইন পঞ্জিকা মতে বুধবার শেষ হয়েছে রাখাইন বর্ষ ১৩৭৫ সন। বৃহস্পতিবার শুরু হয়েছে ১৩৭৬ রাখাইন বর্ষের প্রথম মাস ‘তউং’।
বৌদ্ধ ধর্মালম্বী রাখাইন সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় সামাজিক এ উৎসবের দ্বিতীয় পর্বে বৃহস্পতিবার সকালে এলাকা ভিত্তিক শোভাযাত্রা করা হয়। এছাড়া ঘন্টা বাজিয়ে কিয়াং ও প্যান্ডেল পরিদর্শনও করা হয়।
কিয়াং থেকে উৎসব প্যান্ডেলে ঘুরে বেড়ানোর সময় পানি-ছোড়া খেলায় মেতে ওঠে রাখাইন তরুণ-তরুণীরা। একে অপরকে পানিতে ভিজিয়ে যেন পুরাতন বছরের সকল পাপ, ক্লান্তি আর অসঙ্গতি ধুয়ে-মুছে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়।
সাংগ্রাং পোয়ে বা জলকেলি, উৎসবের এ নাম যেন এরমধ্য দিয়ে সার্থক হয়।
এ সময় তরুণরা নাচ-গানের পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী পানীয় পানও করে।
এছাড়া তরুণরা মাটির কলসি ও তাদের পেছনে বয়স্ক নারী-পুরুষ ‘কল্প তরু’ বহনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে।
রাখাইন তরুণ মং বা চিং রাখাইন বলেন, এবারের রাখাইন বর্ষ বিদায় এবং বরণে প্রতিবারের মতো সাতদিনের আয়োজন শুরু হয়েছে ১৩ এপ্রিল থেকে।
প্রথমদিন পালিত হয়েছে ‘ফারা রিসো পোয়ে’ বা বুদ্ধের স্নান উৎসব যেখানে রাখাইন শিক্ষার্থীরা বুদ্ধ মূর্তিকে স্নান করান।
সুগন্ধি দ্রব্য ও চন্দনের পানি, নানা রাসায়নিক দ্রব্য দিয়ে ধর্মীয় নানা আচারের মধ্য দিয়ে এই স্নান সম্পন্ন হয়।
২য় দিন ১৪ এপ্রিল ছিল ‘রছা ফরা রিসো পোয়ে’ বা বাড়ির বুদ্ধের স্নান উৎসব।
৩য় ও ৪র্থ দিন যথাক্রমে ১৫ ও ১৬ এপ্রিল ছিল শিশু-কিশোরদের ‘সাংগ্রেং পোয়ে’।