‘প্রতিটি সরকার ভারতের কাছে নতজানু’

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের প্রতিটি সরকার নতজানু, শুধু নিজেদের স্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত; তারা রাষ্ট্রের চিন্তা করেনি বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা মনজুরুল আহসান খান।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 10:27 AM
Updated : 18 April 2014, 12:07 PM

সিপিবি-বাসদের তিস্তা অভিমুখী লং মার্চ সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে শুক্রবার সকালে বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ারে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

ভারতের একতরফা পানি প্রত্যাহার বন্ধ এবং তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)।

বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে তিন দিনব্যাপী এই লংমার্চ শুরু হয়। শেষ হবে শনিবার।

মনজুরুল আহসান বলেন, সরকারে থাকা মন্ত্রীরা হাজার গুণ তাদের সম্পদ বাড়িয়ে নিলেও দেশের পানির ব্যবস্থা করেননি। বরং দেশের পানির সম্পদ আগের তুলনায় অনেক কমে গেছে।

কোনো সরকারই পানি নিয়ে ভারতের সঙ্গে দর কষাকষি করেনি, কারণ দর কষাকষির সাহসই এদের নাই বলে দাবি করেন তিনি।

এ কারণে দেশের স্বার্থ হাসিল করার জন্য সাধারণ মানুষকে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়েই নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান তিনি।  

সিরাজগঞ্জ জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান, বজলুর রশিদ ফিরোজ, আবু জাফর আহমদ, রাদেকুজ্জামান রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, নবকুমার কর্মকার প্রমুখ।

সমাবেশ শেষে একটি শোভাযাত্রা বাজার স্টেশন স্বাধীনতা স্কয়ার থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে তিস্তা অভিমুখে লং মার্চটি বগুড়ার উদ্দেশে সিরাজগঞ্জ ত্যাগ করে।

এর আগে বাসদের কেন্দ্রীয় সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন জানান, শুক্রবার বিকাল ৪টার দিকে বগুড়ায় সমাবেশ হবে। রংপুরে শুক্রবার রাতযাপন করবে লংমার্চে অংশগ্রহণকারীরা।

শনিবার সকাল ১০টার দিকে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে সমবেত হওয়ার পর মেডিকেল মোড় হয়ে পাগলাপীর, তারাগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, টেংগনমারী ও জলঢাকা হয়ে ডালিয়া ব্যারেজ সাধুর বাজারে যাবে লংমার্চ। শনিবার বিকাল ৪টায় সেখানে জনসভার মধ্য দিয়ে শেষ হবে এই লংমার্চ।