সারাক্ষণ চোখ বেঁধে রাখা হতো সিদ্দিককে

অপহরণের পর পরিবেশ আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের স্বামী এবি সিদ্দিককে অজ্ঞাত স্থানে একটি উঁচু বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখা হয়।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 April 2014, 03:40 AM
Updated : 18 April 2014, 09:29 AM

শুধু বাথরুমে যাওয়ার সময় ছাড়া বাড়িটির একটি কক্ষে তাকে সারাক্ষণ চোখ বেঁধে রাখা হতো।

ধানমণ্ডি থানায় তার সঙ্গে কথা বলে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এসব কথা জানিয়েছেন ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আখতার হোসেন।

অপহরণের প্রায় ৩৫ ঘণ্টা পর এবি সিদ্দিককে বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুরে রেখে যায় অপহরণকারীরা।

পরে অটোরকিশায় ধানমণ্ডির সেন্ট্রাল রোডের বাসায় ফেরার পথে রাত দেড়টার দিকে কলাবাগানে পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে পরিচয় নিশ্চিত করার পর তাকে ধানমণ্ডি থানায় নেয়া হয়।

খবর পেয়ে রাতেই ধানমণ্ডি থানায় ছুটে যান রিজওয়ানা হাসান, নারায়ণঞ্জের পুলিশ সুপার সৈয়দ নূরুল ইসলাম, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আখতার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সেখানে এবি সিদ্দিক তাকে অপহরণ ও পরের অবস্থা জানান।

ওসি আখতার বলেন, “অপহরণের পর প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে অপহরণকারীরা তাকে (এবি সিদ্দিক) একটি উঁচু বাড়িতে নিয়ে যায়।”

সেখানে সারাক্ষণই তার চোখ বেঁধে মেঝেতে ফেলে রাখা হতো বলে জানান পোশাক কারখানার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সিদ্দিক, বলেন ওসি।

“বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে অপহরণকারীরা হাতে ৩০০ টাকা দিয়ে তাকে মিরপুরে রেখে যায়।”

এদিকে শুক্রবার সকালে সাড়ে ৬টার দিকে ফতুল্লা মডেল থানায় নেয়া হয় এবি সিদ্দিককে বহনকারী অটোরিকশার চালক হাফিজুল ইসলামকে।

সেখানে হাফিজুল সাংবাদিকদের জানান, রাত ১টার দিকে এক রিকশাযাত্রী কাজীপাড়ায় তার গাড়িকে থামার  সংকেত দিয়ে তাকে ধানমণ্ডি সেন্ট্রাল রোডে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেন।

পরে তিনি তাকে তার গাড়িতে তুলে নেন।

“কলাবাগানে পুলিশের চেকপোস্টে ওই ব্যক্তি নিজেকে নারায়ণগঞ্জের ভুইগড় থেকে অপহৃত এ বি সিদ্দিক বলে পরিচয় দেন।”