আগামী ২২ এপ্রিল থেকে শুরু করে তিন দিনে সাফাই সাক্ষ্য নেয়ারও আদেশ দেয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এই আদেশ দেয়।
এর আগে মীর কাসেমের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. নূরুল ইসলামকে জেরা শেষ করেন আসামি পক্ষের আইনজীবি মিজানুল ইসলাম। তাকে সহায়তা করেন তানভির আহমেদ আল আমিন, আহমদ বিন কাসেম, আসাদ উদ্দিন ও আবু বকর সিদ্দিক।
এরপর মীর কাসেমের পক্ষে ২২ জন সাফাই সাক্ষীর নামের তালিকা ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় আসামি পক্ষ। একইসঙ্গে সাফাই সাক্ষীর সংখ্যা সীমিত করে দেয়ার জন্যও একটি আবেদন জমা দেয় প্রসিকিউশন।
গত বছরের ১৮ নভেম্বর প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য উপস্থাপনের মধ্যে দিয়ে মীর কাশেম আলীর বিচারকাজ শুরু হয়। ১১ ডিসেম্বর প্রসিকিউশনের সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ এ পর্যন্ত মোট ২৪ জন সাক্ষী মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে।
জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেমকে গত বছর ১৭ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত বছরের ৫ সেপ্টেম্বর মীর কাশেম আলীর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করা হয়। তার বিরুদ্ধে ১৪টি অভিযোগের মধ্যে আটজনকে নির্যাতনের পর হত্যা, লাশ গুম এবং ৩৪ জনকে অপহরণের পর আটকে রেখে নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে।
মীর কাসেম জামায়াতে ইসলামীর অন্যতম প্রধান অর্থ যোগানদাতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ইসলামী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এবং রাবেতা আলম আল ইসলামী নামে একটি এনজিও’র সাবেক আবাসিক প্রতিনিধি।
জামায়াত সমর্থক বলে পরিচিত দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনেরও চেয়ারম্যান তিনি। ওই প্রতিষ্ঠানেরই সংবাদপত্র দৈনিক নয়া দিগন্ত এবং টেলিভিশন চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন।
১৯৭৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রসংঘ নাম বদলে ইসলামী ছাত্রশিবির নামে বাংলাদেশে রাজনীতি শুরু করলে মীর কাসেম তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হন।