কারাবন্দি ওই আসামিদের আপিল ও মৃত্যুদণ্ডাদেশের অনুমতির আবেদনের শুনানি শেষে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. আব্দুল হাই ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের বেঞ্চ এই রায় দেয়।
খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন- সাজ্জাদ হোসেন খান ওরফে সাজ্জাদ, আলমগীর কবির ওরফে মানিক, আজম ও মো. সোলায়মান। এরা সবাই ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মী ছিলেন।
২০০০ সালের ১২ জুলাই চট্টগ্রাম শাহ আমানত সেতুর সংযোগ সড়কে দিনের বেলায় আড়াআড়ি বাস রেখে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীবাহী মাইক্রোবাস আটকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় আটজনকে।
শিবিরকর্মীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে তদন্তে বেরিয়ে আসে। এরপর ২০০৮ সালে বিচারিক আদালতের রায়ে চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়, তারা সবাই আপিলের রায়ে খালাস পেলেন।
হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও কারা, কাকে গুলি করেছে, সেই চাক্ষুস সাক্ষী না থাকায় আসামিরা খালাস পেয়েছেন বলে আইনজীবীরা মনে করছেন।
চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয়ার পাশাপাশি বিচারিক আদালত তিন আসামি এনামুল হক ওরফে এনাম, মো. আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী ওরফে রিমন ওরফে ইমন ও হাবিব খানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়।
সেই সঙ্গে খালাসের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে যাবে বলেও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
২০০০ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের খুনের এই ঘটনায় দেশজুড়ে আলোচনা উঠেছিল।
চট্টগ্রামের বাকলিয়া থানার কালামিয়ার বাজারে মহানগর ছাত্রলীগের এক সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ওই নেতা-কর্মীরা। পথে তারা হামলার মুখে পড়েন।
গুলিবর্ষণে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। এরা হলেন, মো. হাসিবুর রহমান হেলাল, রফিকুল ইসলাম সোহাগ, জাহাঙ্গীর হোসেন, আজিজুল ইসলাম বাবু, গাড়িচালক মনু। পরে হাসপাতালে মারা যান আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম ও জাহিদ হোসেন।