বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিন দিনব্যাপী এই লংমার্চের বিস্তারিত তুলে ধরেন বামপন্থী দল দুটির নেতারা।
ঢাকা থেকে শুরু হয়ে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন সাধুর বাজারে গিয়ে শেষ হবে তাদের এই লংমার্চ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর আহমেদ বলেন, “নদীর অববাহিকার নিম্নাঞ্চলের দেশ হিসাবে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুসারেই ন্যায্য পানি পাওয়ার অধিকার রাখে। কিন্তু বাংলাদেশের শাসকশ্রেণি এ দাবিটি কখনোই জাতীয়ভাবে বা আন্তর্জাতিকভাবে তুলে ধরেনি। দুই দেশের প্রতিক্রিয়াশীল শাসকগোষ্ঠীর জনস্বার্থ ও প্রকৃতি-পরিবেশ বিরোধী কর্মকাণ্ডের ফল ভোগ করতে হচ্ছে দুদেশেরই সাধারণ মানুষকে।
“শাসকশ্রেণির এ দায়িত্বহীনতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ভারতের শাসকগোষ্ঠীর নদী ধ্বংসের ভয়াবহ পরিকল্পনা রুখে দাঁড়াতে ভারতের গণতন্ত্রকামী প্রগতিশীল জনসাধারণকেও সক্রিয়ভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”
এদিকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে আগামী ২২ মার্চ নীলফামারীর ডালিয়া অভিমুখে লংমার্চ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
সিপিবি-বাসদের সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশের মাধ্যমে ‘তিস্তা মার্চ’-এর যাত্রা শুরু হবে। টঙ্গী, গাজীপুর হয়ে সিরাজগঞ্জে পৌঁছাবে।
১৮ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ থেকে বগুড়া হয়ে রংপুরে পৌঁছাবে লংমার্চ। ১৯ এপ্রিল রংপুর থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা ব্যারেজে পৌঁছাবে তারা। এরপর লালমনিরহাটের হাতিবান্ধার ডালিয়া তিস্তা ব্যারেজ সংলগ্ন সাধুর বাজারে জনসভার মাধ্যমে কর্মসূচি শেষ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান বক্তব্য দেন।
‘তিস্তা মার্চ’ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার জন্য দেশের অন্যান্য বামপন্থী-প্রগতিশীল-উদারনৈতিক শক্তি, পরিবেশ আন্দোলনসহ বিভিন্ন নাগরিক আন্দোলনের প্রতিনিধিদের আহ্বান জানানো হয় সংবাদ সম্মেলন থেকে।