ভারতীয় দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত খবরের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “ওই পত্রিকায় খবর বেরিয়েছে, বাংলাদেশ থেকে আইএসআইর এক এজেন্টকে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা গ্রেপ্তার করে ভারতে নিয়ে গেছে। সংবাদটি যদি সঠিক হয়, তাহলে কিভাবে একটি বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থা অন্য একটি দেশে এসে কিভাবে আরেকটি গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্টকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। ওই আইএসআইর এজেন্টও কিভাবে এদেশে আসলো?”
“আমরা এই সংবাদের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের ব্যাখ্যা দাবি করছি।”
মঙ্গলবার টাইমস অফ ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশে বিমানবন্দরে ধরা পড়ার পর সন্ত্রাসী সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের (আইএম) এক সদস্যকে ভারতে নিয়ে গেছে দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর সদস্যরা।
জিয়াউর রেহমান ওরফে ওয়াক্কাস পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইর হয়ে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনে সক্রিয় ছিলেন বলে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়।
এতে বলা হয়, ওয়াক্কাস বাংলাদেশে লুকিয়ে ছিলেন। সম্প্রতি নেপাল হয়ে পাকিস্তানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে গেলে তাকে আটক করে ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। এরপর ভারতীয় গোয়েন্দারা তার সম্পর্কে জানতে পারেন।
ভারতে বোমা হামলার বেশ কয়েকটি ঘটনায় সংশ্লিষ্টতার সন্দেহে ওয়াক্কাসকে খুঁজছিল দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।
ওয়াক্কাসকে আটক ও তাকে ভারতে নেয়ার বিষয়টি পত্রিকায় পড়ে প্রথম জেনেছেন বলে মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে সংগঠনের সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের মুক্তি দাবিতে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন মির্জা ফখরুল।
দেশে বিরোধী মত ও ভিন্নচিন্তা থাকতে না দেয়ার উদ্দেশ্যে সরকার বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ দায়েরর কৌশল নিয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
“এ যেন হীরক রাজার মতো সরকার দেশ চালাচ্ছে। হীরক রাজার রাজত্ব চলছে।”
আন্দোলন জোরদার করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মীর শরাফত আলী সপু, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল বারী বাবু প্রমুখ বক্তব্য দেন।