বুধবার শিল্পকলা একাডেমিতে ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠান নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।
ইসলামী ব্যাংকের অনুদানের বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, কাছাকাছি সময়ে দুটি ইভেন্ট শুরু হয়। ‘একটি লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’, অন্যটি ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ’।
“ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ‘চাতুর্যের’ আশ্রয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে চেক দেয়ার সময় চেকের ওপর ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ লিখে দেন। বিষয়টি তখন কেউ আঁচ করতে পারেনি। পরে অর্থ মন্ত্রণালয় সেই চেক নেয়। আমাদের মন্ত্রণালয়ের কাছে ওই চেক আসেইনি।”
‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ কর্মসূচির সফলভাবে শেষ হওয়ায় অর্থ কমিটির বৈঠকে সব ব্যাংকের কর্মকর্তারা আমন্ত্রিত হলেও ইসলামী ব্যাংকের কাউকে আমন্ত্রণ দেয়া হয়নি বলে জানান আসাদুজ্জামান নূর।
অনুষ্ঠানের আগে ইসলামী ব্যাংকের কাছ থেকে অনুদান নেয়ায় ‘লাখো কণ্ঠে সোনার বাংলা’ অনুষ্ঠানটি নিয়ে বিতর্ক ওঠে।
তখন গণজাগরণ মঞ্চ কর্তৃক চিহ্নিত ‘যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিষ্ঠান’ ইসলামী ব্যাংক থেকে নেয়া টাকা ফেরত দেয়া হবে বলে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু জানান। এরপরই অর্থ নেয়ার কথা অস্বীকার করেছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
ওই দিনই ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ দাবি করে,‘লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত’ গাওয়ার আয়োজনে তারা ৩ কোটি টাকা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে নূর বলেন, “৫৩টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদান আমরা সংগ্রহ করেছি। কিন্তু এই তালিকায় ইসলামী ব্যাংক নেই। আপনারা (সাংবাদিক) ইচ্ছা করলে এই তালিকার ফটোস্ট্যাট করে নিতে পারেন।”
গিনেস বুকে নাম ওঠানোর এ আয়োজনে প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এখনোও নিরীক্ষা চলছে, খরচ কম-বেশি হতে পারে।
এই অনুষ্ঠানের জন্য সংগৃহীত তহবিলের কিছু টাকা খরচ হয়নি। তা কোন খাতে ব্যবহার হবে, সে সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি বলে জানান আসাদুজ্জামান নূর।
জাতীয় সংগীত গেয়ে গড়া বিশ্ব রেকর্ডের স্বীকৃতি সনদ আনুষ্ঠানিকভাবে আনা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বিকেএমইএর ৪০৯টি পোশাক কারখানার, বিটিএমএ’র প্রায় ১২শ’ টি প্রতিষ্ঠানের জনশক্তি এবং ঢাকা ও আশপাশের ১২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত গাওয়ার অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
অংশগ্রহণকারীদের তেজগাঁওয়ে প্যারেড গ্রাউন্ডে আনতে ২ হাজার ৯শ’ ৫০টি যানবাহন এবং চারটি ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়।
কেউ অসুস্থ হলে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেযার জন্য ৭৯জন চিকিৎসক ও ১৬২ জন তাদের সহযোগী সার্বক্ষণিক নিয়োজিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সচিব রনজিৎ বিশ্বাস, সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার আবু বেলাল মো. শফিউল হক ও নৌবাহিনী কমডোর কাজী এমদাদ হক উপস্থিত ছিলেন।