নিজের জিন বৈশিষ্ট্যের সন্ধানে আউয়াল মিন্টু

বাংলাদেশের ‘প্রথম ব্যক্তি’ হিসেবে নিজের জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু।

ফয়জুল সিদ্দিকীবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2014, 03:51 PM
Updated : 15 April 2014, 04:06 PM

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিন্টু নিজেই বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তার এ উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, “প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে নিজের জিন বিন্যাস উম্মোচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিজিআইয়ের জিন বিজ্ঞানীরা আমার জিনবিন্যাস উম্মোচন করবেন।”

এজন্য রক্তের নমুনা দিতে আগামী মে মাসে চীনে যাচ্ছেন বলে জানান মাল্টিমোড গ্রুপের মালিক মিন্টু।

“সেখানকার বেইজিং জিনোম ইনস্টিটিউটের (বিজিআই) জিন বিজ্ঞানীরা আমার জিনোম সিকোয়েন্স বের করবেন,” বলেন তিনি।

জিনবিন্যাস উম্মোচন করতে সর্বোচ্চ ছয় মাসের মতো সময় লাগবে বলে জানান তিনি।

জিনোম হলো প্রাণী বা উদ্ভিদের জিনেটিক বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। এই নকশার ওপরই নির্ভর করে ওই প্রাণী বা উদ্ভিদের বৈশিষ্ট্য।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা গওহর রিজভীর বেয়াই মিন্টুর মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান লাল তীর লাইফস্টক ও চীনের বিজিআই গত জানুয়ারিতে মহিষের জিনবিন্যাস উন্মোচনের ঘোষণা দেয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শাহনুর হোসেন জানান, এখন পর্যন্ত দেশের কোনো মানুষের জিন বিন্যাস উন্মোচিত হয়নি। তাই আব্দুল আউয়াল মিন্টুরটা হলে তিনিই হবেন প্রথম বাংলাদেশি, যার জিন বিন্যাস উন্মোচিত।

তিনি বলেন, মানব জিন বিন্যাস উম্মোচন এখন একটি সহজ বিষয়। মাত্র এক-দুই দিনের মধ্যেই এটা করা সম্ভব। তবে এর বিশ্লেষণ জটিল এবং সময় সাপেক্ষ।

দক্ষ বিশেষজ্ঞরা এই বিশ্লেষণ করতে সর্বোচ্চ ছয় মাস সময় নেন বলে জানান তিনি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের এই শিক্ষক বলেন, “জিনোম সিকোয়েন্স জানা গেলে আব্দুল আওয়াল মিন্টু তার দেহের রোগ নিরাময়ের জন্য ব্যক্তিগত ওষুধ ব্যবস্থাপনা নিতে পারবেন।”

ব্যক্তিগত ওষুধ ব্যবস্থাপনা হলো কোনো রোগীর জিনবিন্যাস অনুযায়ী রোগ নির্ণয় করে সেই অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা।

ভবিষ্যতে কোনো ক্যান্সারের মতো কোনো জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি আছে কি না তাও জানা যায় জিন বিন্যাস উন্মোচনের মাধ্যমে।

এছাড়া বংশগতভাবে মিন্টুর থেকে তার ভবিষ্যত প্রজন্মে কোনো রোগ যেতে পারে কি না তারও আগাম ধারণা পাওয়া যাবে এই জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে।

যুক্তরাষ্ট্রের হিউম্যান জিনোম প্রজেক্ট (এইচজিপি) ২০০৩ সালে প্রথম মানুষের জিন বিন্যাস উম্মোচন করে।