মঙ্গলবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি মো. হাবিবুল গণির বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
আদেশে ভূমি সচিব, পরিকল্পনা সচিব, কৃষি সচিব ও খাদ্য সচিবকে এই কমিটি গঠন করতে বলা হয়। আদেশের অনুলিপি হাতে পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে কমিটিকে আদালতে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
পাশাপাশি ২০০১ সালের জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে জন্য কার্যকর আইন প্রণয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে বিবাদিদের নিষ্ক্রিয়তা/ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না- তাও জানতে চায় আদালত।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও ড্রাফটিং বিভাগের সচিব, ভূমি সচিব, পরিকল্পনা সচিব, কৃষি সচিব ও খাদ্য সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারী পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মোখলেসুর রহমান।
মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ৯ এপ্রিল এই রিট দায়ের করা হয়।
পরে মনজিল মোরসেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০০১ সালে সরকার জাতীয় ভূমি ব্যবহার নীতিমালা প্রণয়নের পরও কৃষিজমি হ্রাস বন্ধ হয়নি। বরং বিভিন্ন অকৃষি কাজে তার ব্যবহার বেড়েই চলছে।
“এভাবে চলতে থাকলে খাদ্য উত্পাদনে প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাই এর লাগাম টেনে ধরতে আমরা হাই কোর্টের কাছে গিয়েছি।”