মঙ্গলবার বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ এই রুল জারি করে।
সচিবরা হলেন- মো. মঈনুদ্দিন আবদুল্লাহ, জাকির হোসেন, আল আমিন চৌধুরী, এএফএম সারোয়ার কামাল, শোয়েব আহম্মেদ, আয়ুব কাদরি, নুরুল আমিন ও শেখ এনায়েত উল্লাহ। এদের মধ্যে মঈনুদ্দিন বর্তমান শিল্প সচিব।
এছাড়া পরিবেশ অধিদপ্তরের বর্তমান মহাপরিচালক রাইসুল আলমের পাশাপাশি সাবেক ৫ মহাপরিচালককে একই রুল দেয়া হয়েছে। এরা হলেন- নজিবর রহমান, খন্দকার রশিদুল হক, হেদায়েতুল ইসলাম, ওমর ফারুক, খান মো. ইব্রাহিম হোসেন।
কেন তাদের আদালত অবমাননার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করা হবে না, দুই সপ্তাহের মধ্যে তা জানাতে বলা হয়েছে হাই কোর্টের আদেশে।
আবেদনকারীর পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, ওই কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে শিল্প মন্ত্রণালয় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বে ছিলেন।
২০০১ সালে হাই কোর্ট এক রায়ে দুই বছরের মধ্যে হাজারীবাগের ট্যানারি স্থানান্তরের নির্দেশ দেয়। পরে বিভিন্ন সময়ে সময় বাড়ানো হয়। সর্বশেষ ২০১০ সালের ৩০ অক্টোবর স্থানান্তরে ৬ মাস সময় দেয়া হয়।
মনজিল মোরসেদ বলেন, হাই কোর্টের রায়ে ট্যানারি স্থানান্তরের সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও ওই কর্মকর্তারা আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে অব্যাহতভাবে ঢাকার পরিবেশের ক্ষতি করেছেন। ওই ট্যানারির রাসায়নিক বর্জ্যে বুড়িগঙ্গার পানি মারাত্মক দূষিত হয়ে গেছে।