শ্রমিকদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব নিচ্ছে সরকার

শ্রমিকদের সন্তানরা উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারলে তাদের বিনামূল্যে পড়ার ব্যবস্থা করবে সরকার।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 April 2014, 10:21 AM
Updated : 15 April 2014, 10:21 AM

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণাণয় বাংলাদেশের সব খাতের শ্রমিকদের সন্তানদের এই সুবিধা দিতে ‘শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিধিমালা’ সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে।

শ্রম সচিব মিকাইল শিপার মঙ্গলবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, এতদিন শ্রমিকদের সন্তানদের বিভিন্ন পরীক্ষার ফিসহ আনুষাঙ্গিক কিছু সুবিধা দেয়া হত।

“বিধিমালা সংশোধন করে উচ্চ শিক্ষায় যেসব শ্রমিকদের সন্তান ভর্তি হবে সরকার তাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেবে।”

বর্তমানে শিক্ষার্থীরা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পড়তে পারছে।

সচিব বলেন, “কোনো শ্রমিকের সন্তান যদি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে আমরা তাদের পড়াশোনার খরচ জোগাব।”

বর্তমানে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন বিধিমালার আওতায় একজন শ্রমিককে এককালীন ২০ হাজার টাকা দেয়া যায়।

বিধিমালা সংশোধন করে শ্রমিকদের এককালীন এক লাখ করে টাকা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান মিকাইল।

গোষ্ঠী বীমার আওতায় মটরযান শ্রমিক

মটরযান শ্রমিকদের জন্য গোষ্ঠী বীমা স্কিম চালু করেছে শ্রম মন্ত্রণালয়।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নুর উপস্থিতিতে মঙ্গলবার সচিবালয়ে মোটরযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফয়জুর রহমান নিজ নিজ পক্ষে গোষ্ঠী বীমা স্কিম চুক্তিকে সই করেন।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন-২০০৬ এর আওতায় গত বছরের ১৮ নভেম্বর নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য গোষ্ঠী বীমা স্কিম চালু করে সরকার। ওই স্কিমের আওতায় ইতোমধ্যে ৩০৩ জন নির্মাণ শ্রমিক বীমার আওতাভুক্ত হয়েছ্নে।

মটরযান শ্রমিকদের মধ্য থেকে প্রাথমিক পর্যায়েএক হাজার জনকে এই বীমা স্কিমের আওতায় আনা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

পাঁচ বছর মেয়াদি স্কিমে বীমাকৃত অর্থের পরিমাণ হবে দুই লাখ টাকা। প্রিমিয়ামের পরিমাণ হবে বছরে এক হাজার তিনশ টাকা। এর মধ্যে মেকানিক শ্রমিক দেবে সাড়ে চারশ এবং শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন দেবে সাড়ে আটশ টাকা।

চুক্তির মেয়াদ শেষে মটরযান শ্রমিকরা প্রিমিয়ামে জমাকৃত ৫০ শতাংশ ফেরত পাবে।

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন আইন অনুযায়ী, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে বছরে লাভের একটি অংশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে দিতে হয়।

ইতোমধ্যে এই ফাইন্ডেশনে ৫০ কোটি টাকার বেশি জমা পড়েয়ে জানিয়ে চুন্নু বলেন, যেসব প্রতিষ্ঠান এই ফাউন্ডেশনে টাকা জমা দেয়নি তাদেরকে তাগাদা দেয়া হয়েছে।

পোশাক কারখানার মালিকরা এখনো এই ফাউন্ডেশনে টাকা দেননি জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, তারা টাকা দিলে এই ফাউন্ডেশন থেকে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের সহায়তা দেয়া হবে।

ফাউন্ডেশনের টাকা দিয়ে কীভাবে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকদের সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে মন্ত্রণালয় চিন্তাভাবনা করছে বলেও জানান চুন্নু।

বাংলাদেশের ৯৫ শতাংশ পোশাক কারখানা সরকার ঘোষিত নূন্যতম মুজরি বাস্তবায়ন করেছে জানিয়ে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাকি কারখানাগুলো মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে সময় নিয়েছে, তারও নূন্যতম মুজরি বাস্তাবায়ন করবে।