ঢাকায় গাড়ির ধাক্কায় ছাত্র নিহত

রাজধানীর শুক্রবাদে মিরপুর সড়কে সরকারি একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 April 2014, 01:43 PM
Updated : 13 April 2014, 05:11 PM

রোববার বিকালে দুর্ঘটনায় ওই ছাত্র আহত হওয়ার পর সড়কে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে ওই ছাত্রের সতীর্থরা। এতে মিরপুর সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে।

সন্ধ্যায় স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ছাত্রের মৃত্যুর পর পান্থপথে সড়কে নামলে ছাত্রদের লাঠিপেটা করে তুলে দেয় পুলিশ।

নিহত শাহিন ফেরদৌস (২০) ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সের (সিএসই) স্নাতক চতুর্থ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিব হাসান সুমন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বিকাল ৫টায় রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি মাইক্রোবাসের ধাক্কায় আহত হন শাহিন।

শাহিনকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়ার পর সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয় বলে জানান ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছাত্র আনোয়ারুল হক বাবু।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দুর্ঘটনার পরপরই ডেফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করে।

তবে সড়কে কোনো গাড়ি ভাংচুর হয়নি বলে দাবি করেছেন শেরে বাংলা নগর থানার ওসি আবুল মোমেন।

স্কয়ার হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার বিভাগের প্রধান নিজামুদ্দিন মির্জা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই শিক্ষার্থী মাথায় আঘাত পেয়েছিলেন।

“ভর্তির পরপরই তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। নিয়মানুযায়ী আমরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে একটি বোর্ড বসাই। এসময় দ্বিতীয়বারের মত কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হলে সন্ধ্যা ৬টায় সে মারা যায়।”

তিনি বলেন, পরে দিনাজপুরে শাহিনের বাবার সঙ্গে কথা বলে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার ফুপু ও চাচাতো ভাইয়ের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়।

শেরে বাংলানগর পুলিশ পরিদর্শক সাব্বির আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যে গাড়িটি শাহিনকে ধাক্কা দিয়েছে তার এক যাত্রীকে তারা থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

গাড়িটি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।

নিহতের সহপাঠী এবং ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী শাহ আকবর আহমেদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা গাড়িটি দেখেছি। গাড়িটিতে লেখা ছিল-কর্মরত মহিলা গার্মেন্টস শ্রমিকদের আবাসনের জন্য নির্মাণ প্রকল্প, আশুলিয়া।”