বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ‘আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নকারী অপরাধ (দ্রুত বিচার) (সংশোধন) বিল- ২০১৪’ পাসের প্রস্তাব করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন। এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
বিলের ওপর বিরোধী দলের কোনো সংশোধনী প্রস্তাব ছিল না। স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীর প্রস্তাব থাকলেও তিনি ছিলেন অনুপস্থিত।
গত রোববার স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। পরে এটি পরীক্ষা নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে ২০০২ সালে দ্রুত বিচার আইন জারি করে দুই বছরের জন্য তা কার্যকর করা হয়।
চাঁদাবাজি, যান চলাচলে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি, যানবাহনের ক্ষতি সাধন, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিনষ্ট, ছিনতাই, দস্যুতা, ত্রাস ও সন্ত্রাস সৃষ্টি, অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি, দরপত্র কেনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি, ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ বিভিন্ন অপরাধ দ্রুততার সঙ্গে বিচারের জন্য এ আইন করা হয়েছিল।
তবে যারাই বিরোধী দলে ছিল, তারাই বলে আসছিল যে এটি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দমনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
আইনের মেয়াদ বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করে সংসদে বিবৃতিতে বলা হয়, দ্রুত বিচার নিশ্চিত করা এবং আইনের ১৭০৩টি মামলা নিষ্পত্তির জন্য মেয়াদ বাড়ানোর প্রয়োজন।
আইন সংশোধনের ফলে এ আইন ২০১৪ সালের ৮ এপ্রিল থেকে আবার কার্যকর হয়ে ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এ আইনে দোষী প্রমাণিত হলে দুই থেকে পাঁচ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড হতে পারে। প্রতি জেলায় গঠিত এক বা একাধিক দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এ আইনের মামলার বিচার চলে।
এ আইনে ১২০ দিনের মধ্যে বিচারকাজ নিষ্পত্তি করার বিধান আছে। এই সময়ের মধ্যে নিষ্পত্তি করা না গেলে আরো ৬০ দিন সময় পাওয়া যাবে।
অবশ্য সময়সীমা বেঁধে দেয়া থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওই সময়ে বিচার শেষ করা সম্ভব হয় না বলে বিচারপ্রার্থীদের অভিযোগ রয়েছে।