জামায়াতমুক্ত গ্রামবাংলা গড়ার শপথ নিউ ইয়র্কে

যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে অনুষ্ঠিত একটি সেমিনারে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনে নেতৃত্ব দেয়া জামায়াতে ইসলামীর কবল বাংলাদেশকে মুক্ত করার শপথ নিয়েছেন নিউইয়র্ক প্রবাসী বাঙালিরা।

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2014, 11:42 AM
Updated : 24 March 2014, 11:42 AM

রোববার সন্ধ্যায় নিউ ইয়র্ক সিটির উডসাইডের ‘কুইন্স প্যালেস’ মিলনায়তনে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ‘ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার এন্ড ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশ’র উদ্যোগে ‘জামাত মুক্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

কানাডার টরন্টোতে বসবাসরত আন্তর্জাতিক ধর্ম বিশেষজ্ঞ ও ওয়ার্ল্ড মুসলিম কংগ্রেসের উপদেষ্টা হাসান মাহমুদ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন।

ইউএস কমিটি ফর সেক্যুলার ডেমক্র্যাটিক বাংলাদেশের সেক্রেটারি এবং নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জাকারিয়া চৌধুরীর সঞ্চালনে সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ও নিউজার্সি প্লেইন্সবরো সিটির কাউন্সিলম্যান (ডেমোক্রেট) ড. নূরন্নবী।

সেমিনারে বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত সাহিত্যিক মাহফুজুর রহমান এবং ২২ বছর আগে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল জাতীয় কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ঘাতক গোলাম আজমের প্রতীকি বিচারের জন্যে গণআদালতের আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে উপস্থিত থাকা মার্কিন আইনজীবী থমাস কীটিংও বক্তব্য রাখেন।

সেমিনার শুরু হয় জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদ কর্তৃক কেক কাটা এবং উপস্থিত সকলে সমস্বরে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে।

মূল বক্তব্যে হাসান মাহমুদ বলেন, ধর্মকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে ফায়দা হাসিলের জন্যে জামাত-শিবির যুগের পর যুগ ধরে জঘন্য অপকর্ম করছে। একাত্তরে জামায়াত যা করেছে তা ইসলাম ধর্ম বরদাশত করতে পারে না। প্রকৃত অর্থে ওই ধরনের বর্বরতাকে কোনো ধর্মই ঠাঁই দিতে পারে না।

“বাংলাদেশ থেকে জামাত-শিবির তথা ধর্মীয় সন্ত্রাসীদের নির্মূলে রাজনৈতিক দল এবং সুশীল সমাজও নানাভাবে সক্রিয় রয়েছে। আমার চেষ্টা হচ্ছে ভিন্ন পথে। মানুষকে সচেতন করে ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ রচনা করা প্রতিটি গ্রামে।”

তিনি বলেন, গ্রামকে জামাত মুক্ত করতে পারলেই বাংলাদেশ এসব ধর্মীয় সন্ত্রাসীর অভয়ারণ্য মুক্ত হবে।

আইনজীবী থমাস কীটিং তার গণআদালতের বিচারে যোগদানের স্মৃতিচারণ করে বলেন, “একাত্তরের ঘাতকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হলে ভবিষ্যতে ওই ধরনের জঘন্য অপকর্মে কেউ প্রবৃত্ত হবে না।”

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য আওয়ামী লীগ, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে প্রতিনিধিত্বকারীরা সেমিনারে অংশ নেন।