মালয়েশীয় বিমানের খোঁজে তল্লাশিতে বাংলাদেশও

এক সপ্তাহ ধরে ‘নিখোঁজ’ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজটির খোঁজে এবার বাংলাদেশও তল্লাশি অভিযানে যোগ দিচ্ছে। 

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 March 2014, 04:42 PM
Updated : 14 March 2014, 07:44 PM

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে দুটি ‘পেট্রোল এয়ারক্র্যাফট’ ও দুটি ফ্রিগেট সাগরে অনুসন্ধান চালাবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী মাহবুবুল হক শাকিল।

শনিবার থেকেই এ অনুসন্ধান শুরু হবে বলে জানান তিনি।

গত শনিবার প্রথম প্রহরে ২৩৯জন আরোহী নিয়ে কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের ঘণ্টাখানেক পর বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ‘উধাও’ হয়ে যায়।

১৩টি দেশের প্রায় একশ বিমান ও নৌযান গত সাত দিনে দক্ষিণ চীন সাগরে তল্লাশি চালিয়ে ওই বিমানের কোনো খোঁজ বা ধ্বংসাবশেষ পায়নি।

যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর বিমানটি পথ পাল্টে ভারতের আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের দিকে উড়ে গিয়ে থাকতে পারে এমন ধারণা থেকে শুক্রবার তল্লাশি অভিযানের নজর ফেরানো হয়েছে ভারত মহাসাগরের দিকে। 

মালয়শীয় বিমানটির এই হঠাৎ উধাও হয়ে যাওয়া ও প্রায় এক সপ্তাহেও সেটির খোঁজ না পাওয়া, বিমান চলাচলের আধুনিক ইতিহাসে অন্যতম হতাশাজনক রহস্যময় ঘটনা হিসেবে দেখা দিয়েছে।

ঘটনা তদন্তের সঙ্গে জড়িত দুটি সূত্র বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, শনিবার নিখোঁজ হওয়ার পর বিমানটি থেকে দুর্বল কিছু ইলেকট্রনিক সংকেত (পালস) উপগ্রহের মাধ্যমে পাওয়া গেছে। এই সংকেত থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে যে, বিমানটির ট্রাবলশ্যুটিং সিস্টেমের স্যুইচ অন করা ছিল এবং বিমানটি উপগ্রহগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য প্রস্তুত ছিল। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলারের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলার পরও বিমানটি যোগাযোগ করার মতো অবস্থায় ছিল বলে এই সংকেত থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়।

বিমানের ওই সিস্টেম প্রায় এক ঘণ্টায় একটি সংকেত পাঠাচ্ছিল এবং এ রকম পাঁচ থেকে ছয়টি সংকেত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।

তবে এসব সংকেত থেকে বিমানটি আকাশে ছিল না মাটিতে তা পরিষ্কার হওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে সূত্র দুটি।

মালয়েশীয় কর্তৃপক্ষ বলেছে, বিমানটি থেকে শেষ বেসামরিক কল যখন করা হয় তখন বিমানটি থাইল্যান্ড উপসাগরের উত্তর দিক দিয়ে উড়ছিল।

কর্তৃ্পক্ষ আরো বলেছে, সামরিক রেডার থেকে পাওয়া বিমানের অবস্থান থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বিমানটি পুরো ঘুরে পশ্চিম দিকে মোড় নিয়েছিল এবং মালয় উপদ্বীপ পার হয়ে আন্দামান সাগরের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল।

উপগ্রহের পাওয়া সিগন্যালসহ এসব নতুন তথ্য নিখোঁজ বিমানটি কারিগরি ক্রুটির কারণে বিধ্বস্ত হয়েছে, নাকি ছিনতাই হয়েছে বা অন্য কোনো ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে, সেই রহস্যের তেমন কোনো কূলকিনার করতে পারেনি।