আফতাব হত্যা: পাঁচজন আটক

প্রবীণ আলোকচিত্রী আফতাব আহমেদ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

নিজস্ব প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Jan 2014, 08:01 AM
Updated : 13 Jan 2014, 06:56 PM

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান জানান, রোববার রাতে রাজধানীর আগারগাঁও ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটক পাঁচ জন হলেন - হুমায়ুন কবির,  হাবিব হাওলাদার, বেলাল হোসেন কিসলু, সবুজ খান ও রাজ মুন্সী।

এদের মধ্যে হুমায়ুন ছিলেন আফতাব আহমেদের গাড়ির চালক।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা পরিচালক জিয়াউল আহসানের দাবি, অর্থ লুট ও ডাকাতির উদ্দেশ্যে আফতাবকে হত্যায় জড়িত থাকার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে আটক পাঁচজন।

গত ২৫ ডিসেম্বর রাজধানীর রামপুরায় নিজের বাসায় খুন হন আলোকচিত্র সাংবাদিক আফতাব। পশ্চিম রামপুরার ওই বাসা থেকে পুলিশ তার হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে।

হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই গাড়ি চালক হুমায়ুন পলাতক ছিলেন।   

২০০৬ সালে একুশে পদক পাওয়া আফতাব দীর্ঘদিন ইত্তেফাকের জ্যেষ্ঠ আলোকচিত্রী হিসাবে কাজ করেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।

লুটে বাধা দেয়ায় খুন

টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করার সময় বাধা দেয়ার কারণেই সাতজন মিলে আফতাবকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

পাঁচজনকে আটকের পর উত্তরায় র‌্যাবের প্রধান কার্যালয়ে বাহিনীর গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এটিএম হাবিবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান।

তবে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত রাসেল ও নিজামকে এখনো আটক করা যায়নি, যদিও তাদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

হাবিব বলেন, এ ঘটনার ‘মূল পরিকল্পনাকারী’ সাংবাদিক আফতাবের গাড়িচালক হাবীব হাওলাদার।

“বাড়ি ভাড়া দেবেন বলে দেয়ালে ‘টু লেট’ লেখা সাইনবোর্ড লাগিয়েছিলেন আফতাব। গাড়িচালক হাবীবের নেতৃত্বে তার ছয় সহযোগী ভাড়াটিয়া সেজে ২৪ ডিসেম্বর বিকালের পর তার বাড়িতে ঢোকে।”

“দুর্বৃত্তরা আফতাবের কাছে থাকা টাকা ও গহনা দাবি করলে তিনি ‘ডাকাত’, ‘ডাকাত’ বলে চিৎকার করেন।তখন হত্যাকারীরা তার শার্টের কলার চেপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।”

সংবাদ সম্মেলনে নিহতের মেয়ে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আফরোজা আহমেদ ও তার স্বামী ফারুক আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

বাবার মৃত্যুর বর্ণনা শুনে কান্নায় ভেঙে পড়েন আফরোজা আহমেদ।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “যারা আমার বৃদ্ধ বাবাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করেছে আমি তাদের বিচার চাই।”

কোনভাবেই যেন হত্যাকারীরা আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে মুক্ত হতে না পারে সেজন্য সবাইকে দৃষ্টি রাখতেও অনুরোধ করেন তিনি।