এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত

এক সময়ের সামরিক শাসক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ দূত হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন।  

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Jan 2014, 01:05 PM
Updated : 12 Jan 2014, 01:20 PM

একই মর্যাদায় আবারো প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হয়েছেন এইচ টি ইমাম (রাজনৈতিক), গওহর রিজভী (পররাষ্ট্র বিষয়ক), মসিউর রহমান (অর্থনৈতিক) ও তারেক আহমেদ সিদ্দিকী (নিরাপত্তা বিষয়ক)।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত মহাজোট সরকারেও তারা উপদেষ্টার দায়িত্বে ছিলেন। অবশ্য গত নভেম্বরে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পর এইচ টি ইমাম, মসিউর রহমান বাদ পড়েন।

মহাজোট সরকারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা পদে থাকা সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী (স্বাস্থ্য বিষয়ক), আলাউদ্দিন আহমেদ (শিক্ষা বিষয়ক) ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী (জ্বালানি বিষয়ক) এবার বাদ পড়েছেন।

নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা থাকা জাতীয় পার্টির (জেপি) সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু নতুন সরকারে পুরো মন্ত্রী হয়েছেন। তবে জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু বাদ পড়েছেন।

বার বার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ‘ধোঁয়াশাময় চরিত্র’ হিসাবে পরিচিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে নির্বাচন পর্যন্ত সেই সিদ্ধান্তে অটল থাকেন।

কিন্তু আইনের মারপ্যাঁচে তার প্রত্যাহারপত্র গৃহিত না হওয়ায় রংপুর-৩ আসন থেকে ভোটে জিতে যান আশির দশকে নয় বছর দেশ শাসন করা এরশাদ।

গত ১২ ডিসেম্বর র‌্যাবের পাহারায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে যাওয়ার পর থেকে সেখানেই ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান। সরকারের পক্ষ থেকে তার চিকিৎসার কথা বলা হলেও জাতীয় পার্টির একটি অংশ বলছিল, ভোটে না থাকায় তাদের নেতাকে কার্যত বন্দি করে রাখা হয়েছে।   

ভোটের পর গত বৃহস্পতিবার দশম সংসদের নতুন সদস্যরা শপথ নিলেও এরশাদের অনুপস্থিতি নতুন করে আলোচনার জন্ম দেয়। এরপর শনিবার আকস্মিকভাবেই সংসদ ভবনে উপস্থিত হয়ে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে শপথ নেন তিনি।

শপথ নিতে ঢোকার পর স্পিকার হাসতে হাসতে এরশাদকে জিজ্ঞেস করেন- “আপনি আসলেন?”

জবাবে এরশাদ বলেন, “রংপুরের মানুষ ভোট দিয়েছে। আসতে হল’।”

এর আগে ৯ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “আমাদের দলের চেয়ারম্যান বলেছেন, তিনি দেশের রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তাই বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে শপথ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারছেন না।

“তিনি (এরশাদ) বলেছেন, ‘তুমিই বিরোধীদলীয় নেতা হও। আমার দোয়া তোমার সঙ্গে থাকবে’।”