রামপুরার ওসি কৃপা সিন্ধু বালা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বুধবার সকাল ৯টার দিকে খবর পেয়ে তারা পশ্চিম রামপুরায় আফতাব আহমেদের বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করেন।
“ওই বাসায় তিনি একাই থাকতেন। তার মেয়ের জামাই আমাদের খবর দেন। আফতাব আহমেদকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি আমরা।”
ওসি জানান, আফতাবের ঘরটি তছনছ করা হয়েছে। কিছু খোয়া গেছে কি-না তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা না গেলেও তার গাড়ি চালক কবির পলাতক।
সাবেক সহকর্মীরা জানান, আফতাব আহমেদের জন্ম ১৯৩৫ সালে, তার গ্রামের বাড়ি রংপুরের গঙ্গাচড়ায়। আলোকচিত্র সাংবাদিক হিসাবে তিনি ইত্তেফাকে যোগ দেন ১৯৬২ সালে।
পশ্চিম রামপুরার ৬৩ নম্বর হোল্ডিংয়ে চারতলা ওই বাড়ির তৃতীয় তলায় থাকতেন আফতাব। তার দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে মনোয়ার আহমেদ থাকেন যশোরে। আর মেয়ে আফরোজা আহমেদ তার স্বামী ফারুক আহমেদের সঙ্গে থাকেন গাজীপুরে।
প্রতিবেশীরা জানান, গৃহকর্মী নাসিমা প্রতিদিনের মতো সকালে রান্না করতে এসে বাসায় কারো সাড়াশব্দ না পেয়ে অন্য ভাড়াটিয়াদের জানায়। এরপর তারা খবর দেন ফারুক ও আফরোজাকে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বহু ছবি ক্যামেরায় ধারণ করেছেন ফটো সাংবাদিক আফতাব।
১৯৭৪ সালের দুর্ভিক্ষের সময় কুড়িগ্রামের প্রত্যন্ত এলাকা থেকে তার তোলা জেলে পরিবারের মেয়ে বাসন্তীর জাল পরে লজ্জা নিবারণের ছবি অনেক বিতর্কের জন্ম দেয়।
‘স্বাধীনতা সংগ্রামে বাঙালি’, ‘বাংলার মুক্তির সংগ্রাম- সিরাজুদৌল্লা থেকে শেখ মুজিব’, ‘আমরা তোমাদের ভুল না’সহ কয়েকটি বইও লিখেছেন তিনি।