সোমবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের নিয়মিত পূর্বাভাসে বলা হয়, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া ও শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
এ সময় রাজশাহী, রংপুর, ঢাকা ও সিলেট বিভাগে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
সারা দেশে রাত ও দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয় শ্রীমঙ্গলে ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া যশোর, চূয়াডাঙ্গা, সৈয়দপুর ও ঢাকাসহ অন্তত ২০টি এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্তব্যরত পূর্বাভাস কর্মকর্তা জানান, এ মাসে রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমবে। সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
ডিসেম্বর মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্ভাবাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এ মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে এক থেকে দুটি মৃদু অথবা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
পূর্বাভাসে আরো বলা হয়, ডিসেম্বরে বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে। দেশের উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল, মধ্যাঞ্চল ও নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা এবং অন্যান্য স্থানে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
পৌষের মাঝামাঝি বাড়বে শীত
আবহাওয়াবিদরা জানান, শীতের শুরুতে দেশে এ ধরনের আবহাওয়া থাকাটা স্বাভাবিক। তবে পৌষের মাঝামাঝি মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও ঘন কুয়াশায় দিনে-রাতে তাপমাত্রার পার্থক্য কমতে থাকলে শীত বেশি অনুভূত হবে।
কর্তব্যরত আবহাওয়াবিদ বলেন, “পৌষের মাঝামাঝি দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেমন কমে, সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও কম থাকে। এ দুয়ের পার্থক্য কম থাকায় কুয়াশা বাড়ে; সঙ্গে হিমেল হাওয়া যোগ হলে বাড়ে শীতের অনুভূতি।”
আবহাওয়াবিদরা জানান, জানুয়ারির মাঝামাঝিতে শীতের তীব্রতা বাড়বে।