বুধবার রাজধানীর বারিধারায় নিজের বাড়িতে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব সুজাতা সিংয়ের সঙ্গে এক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের সামনে এ আহ্বান জানান।
এরশাদ বলেন, “আমার শেষ কথা হলো- আমি নির্বাচনে যাব না, যাব না। তোমরা যারা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছ, তারা প্রত্যাহার করে নাও। আর সর্বদলীয় সরকারে যারা আছ, তাদের পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি।”
এরশাদের ছোট ভাই ও জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জি এম কাদের আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের বাণিজ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আগে থেকেই। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন ‘সর্বদলীয়’ সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করলে ডাক পান আরো ছয় জন।
গত ১৯ নভেম্বর শপথের পর দপ্তরবণ্টনে এরশাদের স্ত্রী ও দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রওশন এরশাদ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পানিসম্পদ এবং মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদার বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান। মুজিবুল হক চুন্নুকে যুব ও ক্রীড়া এবং সালমা ইসলামকে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।
এছাড়া মন্ত্রী পদমর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসাবে নিয়োগ পান জাতীয় পার্টির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।
এরশাদের ঘোষণার পর জাতীয় পার্টির মন্ত্রীদের প্রায় সবার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। যাদের খোলা ছিল, তাদের মধ্যে চুন্নু বাদে কেউ তা ধরেননি।
চুন্নু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি বৃহস্পতিবার পদত্যাগপত্র দেবেন, অন্যদের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।
৫ জানুয়ারির ভোটে অংশ নেয়ার জন্য সোমবার জাতীয় পার্টির প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এরশাদের পক্ষেও ঢাকা-১৭, লালমনিরহাট-১ ও রংপুর-৩ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়া হয়।
কিন্তু এর পরদিনই এরশাদ এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, বিরোধী দল বিএনপিসহ সব দল না আসায় এবং ‘পরিবেশ না থাকায়’ জাতীয় পার্টি দশম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে না।
এরশাদের ওই ঘোষণার পর রওশন, আনিসুল ইসলাম, রুহুল আমিন হাওলাদার ও সালমা বুধবার দপ্তরে যাননি। তবে জিএম কাদের ও মজিবুল হক চুন্নু অফিস করেছেন বলে কর্মকর্তারা জানান।