কানাডার ভ্যাঙ্কুভার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মারা যান এই প্রবাসী বাঙালি। তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর।
পরিবারের সদস্যরা জানান, দুই বছর আগে রফিকুলের লিউকেমিয়া ধরা পড়ে। পরিস্থিতির অবনতি হলে গত কোরবানির ঈদের পরদিন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
রফিকুল ইসলামের মৃত্যুর খবর জানিয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এ কে এ মোমেন বলেন, কুমিল্লার রাজবাড়ির সন্তান রফিকুল গত ১৮ বছর ধরে কানাডায় বসবাস করলেও তার হৃদয় জুড়ে ছিল বাংলাদেশ। তিনি ছিলেন একজন খাঁটি দেশপ্রেমিক।
সর্বশেষ গত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে রফিকুলের সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয় বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদকের।
সে সময় তার ক্ষীণ কন্ঠেও দেশ নিয়ে উদ্বেগ ছিল স্পষ্ট। বাংলাদেশের সর্বশেষ খবর কি, হরতাল শেষ হয়েছে কিনা, দুই নেত্রীর সমঝোতা হচ্ছে কিনা- এই ছিল তার প্রশ্ন।
অক্টোবরে তার দেশে আসারও কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই কানাডার চিকিৎসকরা জানিয়ে দেন, তার হাতে আর বেশি সময় নেই।
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মাদার লাঙ্গুয়েজ লাভার্স অব দ্য ওয়ার্ল্ড-এর সদস্য রফিকুল ইসলাম ও আবদুস সালামের প্রাথমিক উদ্যোগের ফলে ভাষার জন্য বাঙালির আত্মত্যাগের দিন ২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ ঘোষণার প্রস্তাব প্রথমবারের মতো জাতিসংঘে পৌঁছায় ১৯৯৮ সালে।
১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোতে ওই প্রস্তাব পাস হয়। পরে ২০০৮ সালে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনেও এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
রফিকুল ইসলামের ছোটভাই সাইফুল ইসলাম সাফু মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন।