বৃহস্পতিবার ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহজুড়ে মজীনার নিজ দেশ সফরের কথা জানিয়েছে। তবে তিনি কবে ফিরবেন, তা স্পষ্ট করা হয়নি।
কূটনীতিক পরামর্শ ও পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করেছেন মজীনা। এছাড়া তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান প্রবাসী, নাগরিক ও ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা করবেন।
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি নিয়ে ওয়াশিংটন তাদের বক্তব্য দেবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মজীনার দিল্লি সফর নিয়ে নানা কথা ওঠার পর তা আরো জোরালো হয়েছে।
নির্বাচনের নির্ধারিত সময়ের কয়েক মাস আগেও নির্বাচনকালীন সরকার পদ্ধতি নিয়ে দেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মধ্যে মতভিন্নতা রয়েছে। এনিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বার বার বৈঠকে বসে সমঝোতার পরামর্শ দিচ্ছেন মজীনা।
এর আগে তার ভারত সফরে সে দেশের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে কূটনৈতিক বৈঠকের পর বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন বিষয়ে দুই দেশের মতৈক্য হয়েছে বলে মজীনার বরাত দিয়ে খবর প্রকাশ হয়। তবে ওই খবরে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানায় নয়া দিল্লি।
ভারতের দৈনিক ‘দ্য ইকোনমিক টাইমস’ এক প্রতিবেদনে দিল্লির সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মজীনা আমন্ত্রণ ছাড়াই দিল্লি গিয়ে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বুধবার ঢাকায় বিদেশি কূটনীতিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি বিদেশি কূটনীতিকদেরকে ‘শিষ্টাচার’ মেনে চলার আহ্বান জানান। তার বক্তব্যে কয়েকজন কূচটনীতিকের আচরণে অসন্তোষও স্পষ্ট হয়।