তুহিন মালিক নামে ওই আইনজীবীর বাসায় শুক্রবার সন্ধ্যার পর অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে শান্তিতে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূসেরও অংশ নেয়ার কথা ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি আসেননি।
রাত সাড়ে ১০টার পর ওই অনুষ্ঠান শেষ হয়।
অনুষ্ঠানের বিষয়ে তুহিন মালিক বলেন, “এটি একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান। এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন টকশো সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের পাশাপাশি সুশীল সমাজের বেশ কিছু ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। টকশোতে যাওয়া রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন।”
ইউনূস প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ড. ইউনূসকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। উনি আসবেন কি না জানি না।
অনুষ্ঠান চলাকালে যোগাযোগ করা হলে ঠাট্টাচ্ছলে তিনি বলেন, গণমাধ্যম যেভাবে উনার পিছু নিয়েছে, উনি আসবেন কীভাবে?
অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, হাফিজ উদ্দিন আহমদ, সাবেক মন্ত্রী ওসমান ফারুক, শাহজাহান ওমর, নীলুফার ইয়াসমিন মনি এমপি, ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ অসীম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর আহমেদ, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমকেও দেখা গেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মাহবুব উল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফর উল্লাহ, চ্যানেল আইয়ের টক শো তৃতীয় মাত্রার উপস্থাপক জিল্লুর রহমান, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, পীর হাবিবুর রহমান ও রুহুল আমিন গাজী এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পিয়াস করিমকেও অনুষ্ঠানস্থলে দেখা গেছে।
অনুষ্ঠানে ছিলেন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ।
অনুষ্ঠানের আয়োজক ড. তুহিন মালিক গত বছর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপির সমর্থনে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন। পরে হাই কোর্টের আদেশে ওই নির্বাচন স্থগিত হয়ে যায়। ওই নির্বাচন চেয়ে উচ্চ আদালতের দারস্থ হলেও তার পক্ষে আদেশ আসেনি।