বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার সকাল ১১টায় ম্যুরালটি উদ্বোধন করেন।
এই ম্যুরালটিতে একাত্তরে ৭ মার্চে ভাষণরত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি, সূর্যের মাঝে বাংলাদেশের মানচিত্র, ৭ মার্চের প্রতীক হিসেবে সাতটি কবুতর ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের আবহ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ম্যুরাল নির্মাণ কমিটির আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক মহসীন কাজী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে এ ম্যুরালটি স্থাপন করা হয়েছে।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ ম্যুরাল নির্মাণের বিষয়ে সম্মতি পায়।
ম্যুরালটি নির্মাণ করেছেন শিল্পী আবদুল্লাহ খালিদ। টেরাকোটায় নির্মিত ম্যুরালটির দৈর্ঘ্য ১৫ দশমিক ১ ফুট ও প্রস্থ আট ফুট।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি আলী আব্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে ম্যুরালটি নির্মাণ করা হয়েছে।
ম্যুরাল উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে বক্তব্যে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচারের রায় কার্যকর এবং উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চান।
“মহাজোট ক্ষমতায় এসে আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু করেছে। কয়েকটির রায় হয়েছে, রায় কার্যকর করতেও সক্ষম হব। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই।”
ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে করে ’৬৯ এর গণআন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের ভূমিকা স্মরণ করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শক্তির দোসররা স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বার বার মুছে ফেলার চেষ্টা করেছে, কিন্তু পারেনি। তরুণ প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে জাতির উন্নতি হবে।”
অনুষ্ঠানে উদ্বোধন করা ম্যুরালটির একটি তৈলচিত্র প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব সভাপতি আলী আব্বাস।
প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মহসিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, পরিবেশমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী আফসারুল আমীন, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, সাংসদ শামসুল হক চৌধুরী প্রমুখ।