বুধবার সকাল ১০টা ৪৯ মিনিটে এ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে রায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এরপর ১৯১ পৃষ্ঠার এই রায়ের রায়ের সংক্ষিপ্তসারের প্রথম অংশ পড়া শুরু করেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম।
ট্রাইব্যুনালের অপর বিচারক মো. মুজিবুর রহমান মিয়া রায়ের দ্বিতীয় অংশ পড়ার পর ট্রাইব্যুনাল প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান সাজা ঘোষণা করবেন।
সূচনা বক্তব্যে ট্রাইব্যুনাল প্রধান বলেন, “এটি এ ট্রাইব্যুনালের পঞ্চম রায়। প্রতিটি রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন মন্তব্য করা হয়। উভয় পক্ষই তা করে। তবে রায়ের সংক্ষিপ্তসার দেখেই তা করা হয়। এটা ঠিক না।
“পূর্ণাঙ্গ রায় না দেখে সুইপিং রিমার্ক করলে আইনের শাসনের ক্ষতি হয়।”
এর আগে সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে একটি সাদা রংয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে আসামি আলীমকে হাই কোর্ট সংলগ্ন ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্স থেকে নামিয়ে তাকে হুইল চেয়ারে করে নিয়ে যাওয়া হয় ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায়। এ সময় তার পরনে ছিল সাদা লুঙ্গি ও ফতুয়া।
সকাল ১০টা ৩৩ মিনিটে হুইল চেয়ারে করেই আলীমকে কাঠগড়ায় নিয়ে আসা হয়। এর পরপরই এজলাস কক্ষে আসন গ্রহণ করেন তিন বিচারক।
একাত্তরে হত্যা, গণহত্যা, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, দেশত্যাগে বাধ্য করা এবং এসব অপরাধে উস্কানি ও সহযোগিতার ১৭টি ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে আব্দুল আলীমের বিরুদ্ধে।
রায়কে ঘিরে সকাল থেকেই সুপ্রিম কোর্ট সংলগ্ন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের প্রধান প্রবেশ পথে দুই সারিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে পুলিশ।
এছাড়া হাই কোর্টে যারাই প্রবেশ করছেন, তাদের জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম প্রতিবেদক গোলাম মুজতবা ধ্রুব জানান।
পুলিশের রমনা অঞ্চলের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সরদার বলছেন, যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে তারা তৎপর আছেন।