মহার্ঘ্য ভাতা কার্যকর ১ জুলাই থেকেই

জাতীয় বেতনস্কেলভুক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার গেজেট জারি করেছে সরকার।

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Oct 2013, 07:19 AM
Updated : 8 Oct 2013, 03:53 AM

সোমবার অর্থমন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়, চলতি বছরের ১ জুলাই থেকেই এ মাহার্ঘ্য ভাতা কার্যকর হবে।

এতে বলা হয়, মূল বেতনের ২০ শতাংশ হারে এই ভাতার পরিমাণ হবে মাসে ১৫০০ থেকে ৬০০০ টাকা।

জাতীয় বেতন স্কেলভুক্ত সব সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্ত্বশাসিত ও বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান, সরকারি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সামরিক ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যদের ক্ষেত্রে এই মহার্ঘ ভাতা প্রযোজ্য হবে।

সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার এক অনুষ্ঠানে ২০ শতাংশ মহার্ঘ্য ভাতার এই ঘোষণা দেন। সরকার একটি স্থায়ী পে কমিশন গঠন করতে চায় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এর আগে জানিয়েছিলেন, চলতি অক্টোবর মাসেই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্থায়ী পে কমিশনের ঘোষণা আসতে পারে।      

বর্তমানে দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা ১৩ লাখ।এর মধ্যে চাকরিতে সক্রিয় আছেন প্রায় ১১ লাখ।

সর্বশেষ ২০০৯ সালের ১ জুলাই সরকারি চাকুরেদের বেতন-ভাতা বাড়ানো হয়।

মাহার্ঘ্য ভাতার প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটির আগে সর্বশেষ যে হারে মূল বেতন পেতেন, তার ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন।

গত ১ জুলাই থেকে পরবর্তী নতুন জাতীয় বেতন স্কেল কার্যকর হওয়ায় আগের দিন পযন্ত যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী পেনশনে গিয়েছেন বা যাবেন তাদের মূল বেতনের সঙ্গে মহার্ঘ্য ভাতা যোগ করে পেনশন নির্ধারণ করা হবে।

সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারী-কর্মকর্তারা সাময়িক বরখাস্তের তারিখের আগের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের (অর্ধেক) সঙ্গে ২০ শতাংশ হারে এ ভাতা পাবেন।

সরকার থেকে যারা পেনশন পাচ্ছেন, তারা পেনশনের বিদ্যমান অংশের ওপর ২০ শতাংশ হারে মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন।

এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা একই হারে এ মহার্ঘ্য ভাতা পাবেন।

জাতীয় বেতনস্কেলের আওতায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারী-কর্মকর্তারা তাদের নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা পাবেন।

বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালীন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ সুবিধা পাবেন না।