রোববার জাতীয় সংসদে বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা ফারুক মোহাম্মদ। তখন এটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
মন্ত্রী গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করলে এটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।
সংসদ অধিবেশন না থাকায় গত ২০ অগাস্ট ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের সংশোধনে অধ্যাদেশ জারি করেন রাষ্ট্রপতি। ১৯ অগাস্ট এই অধ্যাদেশের অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
সংবিধানের ৯৩ (২) অনুচ্ছেদে অধ্যাদেশ জারির পর জাতীয় সংসদের পরবর্তী প্রথম অধিবেশনেই তা অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে।
অধ্যাদেশটি পরবর্তীতে আইনে পরিণত করতে সংসদে উপস্থাপনের ৩০ দিনের মধ্যে বিল আকারে পাস করানোর বিধান আছে।
অধ্যাদেশ জারির ফলে সংশোধিত আইন কার্যকর হয়ে গেছে। ব্লগার মশিউর রহমান বিপ্লব, সুব্রত অধিকারী শুভ, রাসেল পারভেজ ও আসিফ মহীউদ্দিন; আমার দেশের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান এবং মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের সেক্রেটারি আদিলুর রহমান খান শুভর বিরুদ্ধে এই আইনেই মামলা হয়েছে।
সংশোধিত আইনে শাস্তির মেয়াদ বাড়িয়ে ন্যূনতম ৭ বছর এবং সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। ২০০৬ সালের পাস হওয়া তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজার বিধান ছিল।
বিলে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) ছাড়া আসামিকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে পুলিশকে, যা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে।
এছাড়া প্রস্তাবিত আইনে কিছু অপরাধ জামিন অযোগ্য করা হয়েছে। আগের আইনে সব অপরাধ জামিন যোগ্য ছিল। বিলে আইসিটি সংক্রান্ত বেশকিছু অপরাধ আমলযোগ্য রাখা হয়েছে।
এছাড়া আগের আইনে মামলা করতে হলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি নিতে হত। কিন্তু নতুন আইনে পুলিশ অপরাধ আমলে নিয়ে মামলা করতে পারবে।