পুলিশের পল্লবী অঞ্চলের এসি মো. কামাল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তিন দিনের রিমান্ডের প্রথম দিনেই নদী পল্লবী থানা পুলিশের কাছে তার দোষ স্বীকার করেছে।
“‘নদী বলেছে আদুরিকে সে বাড়িতে শারীরিকভাবে অত্যাচার করতো।”
এদিকে শনিবার রাতে পল্লবী থানা পুলিশ নওরীন জাহান নদীকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে হস্তান্তর করেছে।
সেখানে নদীর বাকি দুই দিনের রিমান্ড কার্যকর করা হবে বলে ভিকটিক সাপোর্ট সেন্টারের এডিসি ফাতেহা ইয়াসমিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।
তিনি বলেন, “এখানে নদীর বাকি থাকা দুই দিনের রিমান্ড কার্যাকর করা হবে।”
নদী তার দোষ স্বীকার করেছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
তবে এই পুলিশ কর্মকর্তা নদীর স্বামীর ব্যাপারে রিমান্ডে পাওয়া তথ্য প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, নদী জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তার স্বামী সাইফুল ইসলাম মাসুদ এ ঘটনার পর থেকে নয়, অনেক আগে থেকেই পলাতক রয়েছেন।
এমএলএম ব্যবসায় ক্ষতি হবার পর থেকেই দীর্ঘদিন ধরে সাইফুল পলাতক বলে নদী জিজ্ঞাসাবাদে দাবি করেছেন।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর পল্লবী এলাকার একটি ময়লার স্তূপ থেকে অচেতন অবস্থায় আদুরিকে উদ্ধার করা হয়। নির্যাতনের পর তাকে ফেলে রাখা হয়েছিল সেখানে।
নির্যাতনের অভিযোগে গৃহকর্ত্রী নওরীন জাহান নদীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আদুরিদের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফলের জৈনকাঠি গ্রামে।
নদীকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তারের পর তিন দিনের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে পল্লবী থানা পুলিশ।
আদুরি এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।